উন্মুক্ত মতামত – Meem tv https://meemtvusa.com usa & canada Bangla tv channel Thu, 07 Sep 2023 20:36:58 +0000 en-US hourly 1 https://wordpress.org/?v=5.3.17 https://meemtvusa.com/wp-content/uploads/2019/10/cropped-Meemtvusa-2-32x32.png উন্মুক্ত মতামত – Meem tv https://meemtvusa.com 32 32 এতিম বিয়ানীবাজার ছাত্রলীগের নীরব আর্তনাদ-আবু হানিফ https://meemtvusa.com/2023/09/07/%e0%a6%8f%e0%a6%a4%e0%a6%bf%e0%a6%ae-%e0%a6%ac%e0%a6%bf%e0%a6%af%e0%a6%bc%e0%a6%be%e0%a6%a8%e0%a7%80%e0%a6%ac%e0%a6%be%e0%a6%9c%e0%a6%be%e0%a6%b0-%e0%a6%9b%e0%a6%be%e0%a6%a4%e0%a7%8d%e0%a6%b0%e0%a6%b2/ https://meemtvusa.com/2023/09/07/%e0%a6%8f%e0%a6%a4%e0%a6%bf%e0%a6%ae-%e0%a6%ac%e0%a6%bf%e0%a6%af%e0%a6%bc%e0%a6%be%e0%a6%a8%e0%a7%80%e0%a6%ac%e0%a6%be%e0%a6%9c%e0%a6%be%e0%a6%b0-%e0%a6%9b%e0%a6%be%e0%a6%a4%e0%a7%8d%e0%a6%b0%e0%a6%b2/#respond Thu, 07 Sep 2023 20:36:58 +0000 https://meemtvusa.com/?p=8627 আবু হানিফ :নেতৃত্ব সৃষ্টি ও বিকাশের উর্বর জনপদ ও মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তির দুর্জয় দূর্গ হিসাবেই পরিচিত ঐতিহ্যবাহী বিয়ানীবাজার। কিন্তু সর্বমহলেই গুঞ্জন আছে যে এই শহরের ছাত্রলীগ শক্তিশালী ও প্রগতিশীল হওয়া স্বত্তেও এরা প্রকৃত এতিম।নৌকার নিরঙ্কুশ বিজয় আদায়সহ অপশক্তি প্রতিরোধের আন্দোলন-সংগ্রামে এখানকার ছাত্রলীগ অগ্রণী ভূমিকা পালন করে।একক আধিপত্য বিস্তার করার নোংরা মনমানসিকতার কারণে স্বার্থান্বেষী মহল আওয়ামী পরিবারের অভ্যন্তরীণ কোন্দলকে উসকে দেয় দেয় এবং ছাত্রলীগকে নিয়ে নানান ষড়যন্ত্রে মেতে উঠে। কিন্তু এই সকল বঞ্চনা,ষড়যন্ত্র ও বিদ্বেষ উপেক্ষা করে চেতনার দৃঢ়তা ও আদর্শিক দায়বদ্ধতার কারণে বিয়ানীবাজার ছাত্রলীগ শেখ হাসিনার পথ মসৃন করার কাজসহ সকল সাংগঠনিক কর্মসূচি,কর্মকাণ্ড যথারীতি পালন করে।এখানেই তারা ক্ষান্ত নয় যখন -ই রাজপথসহ রাজনৈতিক অঙ্গনে যখন কুচক্রী মহল অপতৎপরতা চালায় তখন আদর্শিক শক্তি প্রয়োগ করে ছাত্রলীগ শক্ত হাতে প্রতিহত করে দুষ্কৃতকারীদের। বিচার বিবেচনা করলে স্পষ্ট ধারণা অনায়াসে পাওয়া যাবে যে,এখনাকার ছাত্রনেতাদের মেধা,সাহস,বিচক্ষণতা,নেতৃত্বগুণ তাদেরকে অন্যদের থেকে আলাদা রাখে।এই জনপদ অগগণ যোগ্য নেতৃত্বের বাগান বললেও ভুল হবে না।তবে সৌরভ ছড়ানো এই সকল ফুলগুলো প্রচুর অবহেলিত।তবে পরিচয় বঞ্চিত হওয়া স্বত্তেও উদ্যমী ছাত্রলীগ এরা। প্রায় দুই যুগ পূর্বে এখানে ছাত্রলীগের কমিটি গঠন করে হয়েছি যার স্থায়ীত্ব খুব অল্প ছিলো।সেদিন আজ অনেক প্রজন্মের কাছে কেবলই এক ইতিহাস। এত সক্রিয়ভাবে রাজপথে কাজ করার পরেও যখন সাংগঠনিক পরিচয় বঞ্চিত তখন তো বিয়ানীবাজার ছাত্রলীগকে নিরুপায়,অসহায়,বঞ্চিত,অবহেলিত বলার অপেক্ষা থাকে না।স্থানীয় আওয়ামীলীগকে-ই ছাত্রলীগের পরিচয়হীন অবস্থার জন্য অনেকেই দ্বায়ী করেন। তবুও বুকের ভেতরের আক্ষেপ চেপে রেখেও নির্দ্বিধায় আওয়ামীলীগের ডাকে সারা দেয় বরাবরই বিয়ানীবাজার ছাত্রলীগ।স্থানীয় আওয়ামীলীগের কেউ কেউ ছাত্রলীগের এই সাংগঠনিক পরিচয়ের দাবির সাথে একাত্মতা পোষণ করলেও সবাই এগিয়ে না আসায় আবার আঁধারে ডুব দেয় এখানের ছাত্রলীগ।”ত্যাগীরা অভিমানী হয় তবে বেইমান না” এই কথাটির সত্যতা বিয়ানীবাজার ছাত্রলীগ প্রমাণ করে।এই উপজেলার উল্লেখ্যযোগ্য অনেক নেতাকর্মী কৃতিত্বের সঙ্গে ছাত্ররাজনীতির জীবন কাটানোর পরে দিনশেষে পরিচয় হিসেবে সাবেক নন্দিত,সংগ্রামী,মেধাবী ছাত্রনেতা এরকম কিছু তকমা নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয় ভাগ্যে জুটে না ছাত্রলীগের সাংগঠনিক কোনো পরিচয়।তবুও তাদের কোন অভিযোগ নেই কারণ তারা মনে করে ছাত্রলীগের একজন সাধারণ কর্মী হওয়াও অনেক গৌরবের বিষয়।তাই বলে কি সাংগঠনিক কোন পরিচয় তাদের প্রাপ্য নয়?যেকোনো সংগঠনের গতিশীলতা বৃদ্ধি ও ভাবমূর্তি অক্ষুণ্ণ রাখতে জবাবদিহিতার জায়গার প্রয়োজন রয়েছে যে ক্ষেত্রে কমিটির কোনো বিকল্প নেই।যেখানে ছাত্রলীগের কমিটির স্বপ্ন দেখাকে লোকজন হাস্যরসের খোরাক মনে করে সেখানেই নতুন করে আরেকবার এখানকার ছাত্রলীগের স্বপ্নবাজ নেতাকর্মীদের মনে নতুন অধ্যায়ের সূচনা ও দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান হবে এমন আশার প্রদীপ জ্বলেছে।সিলেট জেলা ছাত্রলীগের দিকে চেয়ে বসে আছেন তারা আর এই দাবির প্রতি জেলা ছাত্রলীগও যথেষ্ট আন্তরিকতা দেখাচ্ছে। দেখা যাক অতঃপর কি হয়?

]]>
https://meemtvusa.com/2023/09/07/%e0%a6%8f%e0%a6%a4%e0%a6%bf%e0%a6%ae-%e0%a6%ac%e0%a6%bf%e0%a6%af%e0%a6%bc%e0%a6%be%e0%a6%a8%e0%a7%80%e0%a6%ac%e0%a6%be%e0%a6%9c%e0%a6%be%e0%a6%b0-%e0%a6%9b%e0%a6%be%e0%a6%a4%e0%a7%8d%e0%a6%b0%e0%a6%b2/feed/ 0
ব্রিকস : বৈশ্বিক রাজনীতি-অর্থনীতির নয়া মোড়ল https://meemtvusa.com/2022/09/28/%e0%a6%ac%e0%a7%8d%e0%a6%b0%e0%a6%bf%e0%a6%95%e0%a6%b8-%e0%a6%ac%e0%a7%88%e0%a6%b6%e0%a7%8d%e0%a6%ac%e0%a6%bf%e0%a6%95-%e0%a6%b0%e0%a6%be%e0%a6%9c%e0%a6%a8%e0%a7%80%e0%a6%a4%e0%a6%bf-%e0%a6%85/ https://meemtvusa.com/2022/09/28/%e0%a6%ac%e0%a7%8d%e0%a6%b0%e0%a6%bf%e0%a6%95%e0%a6%b8-%e0%a6%ac%e0%a7%88%e0%a6%b6%e0%a7%8d%e0%a6%ac%e0%a6%bf%e0%a6%95-%e0%a6%b0%e0%a6%be%e0%a6%9c%e0%a6%a8%e0%a7%80%e0%a6%a4%e0%a6%bf-%e0%a6%85/#respond Wed, 28 Sep 2022 02:02:53 +0000 https://meemtvusa.com/?p=6642  

ইয়াহিয়া নয়নঃ

বিশ্বের উদীয়মান পাঁচ অর্থনৈতিক শক্তি ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চীন ও দক্ষিণ আফ্রিকাকে নিয়ে গঠিত জোট ব্রিকসে যোগ দিতে চায় ইরান। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাদের আবেদনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। চলমান ইউক্রেন যুদ্ধের পর বিশ্ব অর্থনীতি – রাজনীতির নতুন চালিকাশক্তি হয়ে উঠতে পারে ব্রিকস।
তেহরানের সদস্যপদ প্রাপ্তিতে ইরান ও জোট উভয়েরই ব্যাপক লাভ হবে বলে মন্তব্য করেছেন ইরানি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র। এছাড়া কেবল ইরানই নয়, আর্জেন্টিনাও এ জোটে যোগ দিতে আবেদন করেছে বলে জানিয়েছে রাশিয়া।
যুক্তরাষ্ট্র নেতৃত্বাধীন পশ্চিমা জোট ইউক্রেনে হামলার দায়ে মস্কোকে একঘরে করার চেষ্টা করেছিল, তা যে সফল হয়নি ইরান ও আর্জেন্টিনার এই আবেদনকে তার প্রমাণ হিসেবে দেখাচ্ছে রাশিয়া।
রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা বলেন, হোয়াইট হাউস যখন বিশ্বের কোথায় আর কী কী বন্ধ করা যায়, নিষেধাজ্ঞা দেওয়া যায় বা নষ্ট করা যায় তা ভাবছে, ইরান ও আর্জেন্টিনা তখন ব্রিকসে যোগ দেওয়ার আবেদন করেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের মদতপুষ্ট শাহ মোহাম্মদ রেজা পাহলভিকে ক্ষমতাচ্যুত করে ১৯৭৯ সালে হওয়া ইরানি বিপ্লবের পর থেকে পশ্চিমা দেশগুলো তেহরানকে একঘরে করে রেখেছে। মধ্যপ্রাচ্যের মোট তেলের রিজার্ভের এক চতুর্থাংশের মালিক হওয়ার পরও একের পর এক নিষেধাজ্ঞার কারণে শিয়া সংখ্যাগরিষ্ঠ ইরানের অর্থনীতি বেশ সংকটেই আছে।
অর্থনৈতিক জোট ব্রিকস বিশ্বের ৪১ শতাংশ মানুষের প্রতিনিধিত্ব করছে। বৈশ্বিক জিডিপির এক-চতুর্থাংশ যোগানদাতা এ জোট মোট বৈশ্বিক বাণিজ্যের ১৬ শতাংশের অংশীদার। এ অবস্থায় জোটকে আরও শক্তিশালী করতে সদস্য বাড়াতে চায় রাশিয়া।
সম্প্রতি ব্রিকস জোটের সম্মেলনে অংশ নিয়ে রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন পশ্চিমাদের একটি বার্তা দিয়েছেন। আর তা হলো-ইউক্রেনে হামলার জেরে মস্কোর বিরুদ্ধে পশ্চিমাদের ব্যাপক নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও রাশিয়া একা নয়। আর এরই মধ্যে আর্জেন্টিনা ও ইরানের জোটটিতে প্রবেশের ইচ্ছে প্রকাশ সেই মন্তব্যকেই সমর্থন করছে।
রুশ এবং চীনারা বর্তমান বিশ্বব্যবস্থার দুটি বৈশিষ্ট্য নিয়ে প্রায়ই আপত্তি তোলে। এ দুটি হলো, এক মেরু কেন্দ্রিকতা এবং সার্বজনীনতা। আরো সহজ করে বললে দাঁড়ায়, দেশ দুটি মনে করে যে বর্তমান বিশ্ব ব্যবস্থা আমেরিকাকে অনেক বেশি ক্ষমতার যোগান দেয় । এ অবস্থায় তারা এই ব্যবস্থার পরিবর্তন ঘটাতে বদ্ধপরিকর।
এক মেরু কেন্দ্রিকতা বলতে বোঝায়, সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর বিশ্বে কেবল একটিই পরাশক্তি রয়েছে আর সেটি হলো – মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। রুশ পররাষ্ট্র-নীতি সংক্রান্ত চিন্তাবিদ এবং প্রেসিডেন্ট পুতিনের ঘনিষ্ঠজন ফিওদর লুকিয়ানভ বিশ্বাস করেন যে বিশ্ব মঞ্চে যুক্তরাষ্ট্রের জন্য যা উপযুক্ত তা করার সক্ষমতা এবং সম্ভাবনা এনে দিয়েছে, এক মেরু কেন্দ্রিকতা। তিনি আরো বলেন, এক মেরু কেন্দ্রিকতা’র মধ্য দিয়ে মার্কিন আধিপত্যের নব যুগের সূচনা হয় ১৯৯১ সালের পারস্য উপসাগরীয় যুদ্ধের মাধ্যমে। আমেরিকা এ সময় সাদ্দাম হোসেনের ইরাককে কুয়েত থেকে হটিয়ে দেওয়ার জন্য একটি বিশ্ব জোট গঠন করে।
১৯৯০-র দশকে বসনিয়া এবং কসোভোসহ বিশ্বজুড়ে মার্কিন নেতৃত্বাধীন সামরিক হস্তক্ষেপের পরপরই সূচনা হয় উপসাগরীয় যুদ্ধের। ১৯৯৯ সালে সার্বিয়ার রাজধানী বেলগ্রেডে ন্যাটোর বোমাবর্ষণকে কেন্দ্র করে রাশিয়া দীর্ঘ দিন ধরে বলছে যে ন্যাটো নিছক প্রতিরক্ষা জোট নয়। বেলগ্রেডের চীনা দূতাবাসে ন্যাটো বোমা হামলার ঘটনাও বেইজিং ভুলে যায়নি।
আফগানিস্তানে আমেরিকার পরাজয়ের প্রতীক হয়ে উঠেছে ২০২১ সালের গ্রীষ্মে কাবুল থেকে নজিরহীন হযবরল অবস্থায় মার্কিন সেনা প্রত্যাহার। এতে রাশিয়া প্রত্যাশা করছে যে মার্কিন নেতৃত্বাধীন বিশ্বব্যবস্থা ভেঙে পড়ছে। আসলে, তালেবানের হাতে কাবুলের পতন বার্লিন প্রাচীরের পতনের চেয়ে মোটেও কম ঐতিহাসিক গুরুত্বপূর্ণ এবং প্রতীকী হিসেবে বিবেচিত হবে না। চীনের নেতারা বিশ্বাস করেন মহাশক্তির মর্যাদায় চীনের অভ্যুদয় ঘটেছে। চীন এখন বিশ্বব্যবস্থায় একটি নতুন ভূমিকা পালনের অধিকার লাভ করেছে।
চীনারা বিশ্বাস করে মার্কিন নেতৃত্বাধীন বিশ্বব্যবস্থা মিলিয়ে যাচ্ছে। এবং একটি বহু কেন্দ্রিক ব্যবস্থা গড়ে উঠবে। প্রেসিডেন্ট শি নিজেও একে আরো সংক্ষেপে তুলে ধরেন। তিনি প্রায়ই বলেন, পূর্বের উদয় ঘটছে এবং পশ্চিম অস্তমিত হচ্ছে।
একটি নতুন বিশ্বব্যবস্থা তৈরি করা রাশিয়া এবং চীনের জন্য কেবল অপরিশীলিত শক্তি দেখানোর বিষয় নয়। এটা আদর্শের লড়াইও। পশ্চিমা উদারনৈতিক ঐতিহ্য সর্বজনীন মানবাধিকারের বক্তব্য প্রচার করে। কিন্তু রুশ এবং চীনা চিন্তাবিদরা বলেন যে, বিভিন্ন সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য এবং সভ্যতা-কে ভিন্ন ভিন্ন উপায়ে বিকশিত হওয়ার সুযোগ দেওয়া উচিত।
বেইজিং এবং মস্কো যুক্তি দেখায় যে বর্তমান বিশ্ব ব্যবস্থায় প্রয়োজন মনে করলে অন্য দেশের ওপর গণতন্ত্র ও মানবাধিকার চাপিয়ে দিতে পারে আমেরিকা। এ জন্য দরকার হলে সামরিক হস্তক্ষেপেও দ্বিধা করেনা আমেরিকা। রাশিয়া এবং চীন যে নতুন বিশ্বব্যবস্থার দাবি করছে সেখানে এমন বল প্রয়োগের বদলে স্বতন্ত্র প্রভাব বলয়গুলো সুচিহ্নিত থাকবে। নিজ নিজ প্রতিবেশী দেশগুলোর ওপর রাশিয়া এবং চীনের আধিপত্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মেনে নেবে। পাশাপাশি পুতিন বা শি সরকারকে হুমকির মুখে ফেলতে পারে এমন রঙিন বিপ্লব বা গণতন্ত্রের প্রতি নিজ সমর্থনও ওয়াশিংটন ত্যাগ করবে।
ইউক্রেনের সঙ্কট হল ভবিষ্যৎ বিশ্বব্যবস্থা নিয়ে লড়াই। এই সঙ্কটের মধ্য দিয়ে কতোগুলো সুনির্দিষ্ট বিষয় উঠে এসেছে। পুতিনের কাছে ইউক্রেন সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক ভাবে রাশিয়ার প্রভাব বলয়ের অংশ হয়ে উঠেছে। পশ্চিমা জোট ন্যাটোতে যোগদানের ইউক্রেনের যে কোনো ইচ্ছার বিরুদ্ধে ভেটো দেওয়ার অধিকার থাকাটা নিরাপত্তার দিক থেকে রাশিয়ার জন্য অত্যাবশ্যকীয় হয়ে উঠেছে। মস্কো দেশটিতে রুশ ভাষাভাষীদের রক্ষক হিসাবে ভূমিকা পালন করারও দাবি করে।, অন্যদিকে এ সব দাবিকে বর্তমান বিশ্ব ব্যবস্থার কিছু মৌলিক নীতি, বিশেষ করে একটি স্বাধীন দেশের বৈদেশিক নীতি এবং কৌশলগত পছন্দ-অপছন্দ নির্ধারণের নিজস্ব অধিকার বিরোধী হিসেবে দেখছে আমেরিকা।
রাশিয়া ইউক্রেন আক্রমণ করেছে, পুতিন এ যুদ্ধে সফল হলে, তাইওয়ান আক্রমণ করার জন্য শির লোভ দুর্দমনীয় হয়ে উঠবে। আমেরিকান যুগের অবসান হয়েছে অনুভব করে উত্তেজিত জাতীয়তাবাদীদের পক্ষ থেকে চীনা নেতার উপর অভ্যন্তরীণ চাপও বাড়বে।
লেখক : সাংবাদিক।

]]>
https://meemtvusa.com/2022/09/28/%e0%a6%ac%e0%a7%8d%e0%a6%b0%e0%a6%bf%e0%a6%95%e0%a6%b8-%e0%a6%ac%e0%a7%88%e0%a6%b6%e0%a7%8d%e0%a6%ac%e0%a6%bf%e0%a6%95-%e0%a6%b0%e0%a6%be%e0%a6%9c%e0%a6%a8%e0%a7%80%e0%a6%a4%e0%a6%bf-%e0%a6%85/feed/ 0
কোন পথে জামায়াত আর জাতীয় পার্টি ? https://meemtvusa.com/2022/09/04/%e0%a6%95%e0%a7%8b%e0%a6%a8-%e0%a6%aa%e0%a6%a5%e0%a7%87-%e0%a6%9c%e0%a6%be%e0%a6%ae%e0%a6%be%e0%a7%9f%e0%a6%be%e0%a6%a4-%e0%a6%86%e0%a6%b0-%e0%a6%9c%e0%a6%be%e0%a6%a4%e0%a7%80%e0%a7%9f-%e0%a6%aa/ https://meemtvusa.com/2022/09/04/%e0%a6%95%e0%a7%8b%e0%a6%a8-%e0%a6%aa%e0%a6%a5%e0%a7%87-%e0%a6%9c%e0%a6%be%e0%a6%ae%e0%a6%be%e0%a7%9f%e0%a6%be%e0%a6%a4-%e0%a6%86%e0%a6%b0-%e0%a6%9c%e0%a6%be%e0%a6%a4%e0%a7%80%e0%a7%9f-%e0%a6%aa/#respond Sun, 04 Sep 2022 18:16:59 +0000 https://meemtvusa.com/?p=6291 ইয়াহহিয়া নয়ন:
যুদ্ধের দরুণ বৈশ্বিক মন্দা, জ্বালানীসহ নিত্যপণ্য মুল্যের উর্ধ্বগতি এখন সরকারের পক্ষে জনমত পক্ষে ধরে রাখার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। এর মধ্যেও আশার কথা পদ্মাসেতু চালু হয়ে যাওয়াসহ আগামী এক বছরে আরও কয়েকটি মেগা-প্রকল্পের সমাপ্তি মন্দা পরিস্থিতির মধ্যেও অর্থনীতিতে কিছুটা গতি সঞ্চার করবে সন্দেহ নেই। তবে যুদ্ধ শেষ হবার কোনো লক্ষণ না থাকা, উপরন্তু রাশিয়ার ওপর আমেরিকা-ইউরোপের সেংশনে জ্বালানীর মূল্য যেভাবে বাড়ছে, তাতে বিশেষজ্ঞদের মতে পুরো উন্নয়নশীলসহ বিশ্বের জন্যই সংকট আরও ঘনীভূত হচ্ছে। এমন এক অবস্থার মাঝেই এগিয়ে আসছে জাতীয় নির্বাচন।

কোনপথে হাটবে আওয়ামীলীগ, সরকার হিসেবে তারা ক্ষমতায় আগামী পর্বে থাকবে কিনা? সেসব নিয়ে আগামীতে লেখা যাবে। বিরোধীরা কতোটা একজোট হয়ে একক কর্মসূচিতে কতোট পথ চলতে পারে তাও পর্যবেক্ষণের প্রয়োজন। বিস্তারিত আগামীতে লেখার ইচ্ছা রইল।

লেখক : সাংবাদিক,কলাম লেখক।

]]>
https://meemtvusa.com/2022/09/04/%e0%a6%95%e0%a7%8b%e0%a6%a8-%e0%a6%aa%e0%a6%a5%e0%a7%87-%e0%a6%9c%e0%a6%be%e0%a6%ae%e0%a6%be%e0%a7%9f%e0%a6%be%e0%a6%a4-%e0%a6%86%e0%a6%b0-%e0%a6%9c%e0%a6%be%e0%a6%a4%e0%a7%80%e0%a7%9f-%e0%a6%aa/feed/ 0
চীন-ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কের ভারসাম্য https://meemtvusa.com/2022/09/04/%e0%a6%9a%e0%a7%80%e0%a6%a8-%e0%a6%ad%e0%a6%be%e0%a6%b0%e0%a6%a4%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%b8%e0%a6%99%e0%a7%8d%e0%a6%97%e0%a7%87-%e0%a6%ac%e0%a6%be%e0%a6%82%e0%a6%b2%e0%a6%be%e0%a6%a6%e0%a7%87/ https://meemtvusa.com/2022/09/04/%e0%a6%9a%e0%a7%80%e0%a6%a8-%e0%a6%ad%e0%a6%be%e0%a6%b0%e0%a6%a4%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%b8%e0%a6%99%e0%a7%8d%e0%a6%97%e0%a7%87-%e0%a6%ac%e0%a6%be%e0%a6%82%e0%a6%b2%e0%a6%be%e0%a6%a6%e0%a7%87/#respond Sun, 04 Sep 2022 18:10:08 +0000 https://meemtvusa.com/?p=6288 ইয়াহিয়া নয়নঃ
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতেই সফল নন। তিনি আন্তর্জাতিক কূটনীতিতেও সফল। স্বয়ং মার্কিন যুক্তরাস্ট্র অফিসিয়ালি তা স্বীকার করেছে। সা¤প্রতিক বছরগুলোয় দক্ষিণ এশিয়ার ভূরাজনীতির বড় ধরনের আলোড়ন তুলেছে চীনের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ (বিআরআই)। ভারত ও চীনের মধ্যে আঞ্চলিক প্রভাব বিস্তারের প্রতিযোগিতায় তীব্রতা এনে দিয়েছে বেইজিংয়ের এ উদ্যোগ। শুরু থেকেই এ উদ্যোগের সঙ্গে দূরত্ব বজায় রেখেছে ভারত। আবার চীন-ঘনিষ্ঠতা ও ভারতের সঙ্গে বৈরিতার সুবাদে বিআরআইকে স্বাগত জানিয়েছে পাকিস্তান।
দক্ষিণ এশিয়ার অন্য দেশগুলোর জন্য পরি¯ি’তি একটু ভিন্ন। এসব দেশে বড় ধরনের ক‚টনৈতিক চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে বিআরআই উদ্যোগ। বিআরআই প্রকল্পগুলোকে যথাযথভাবে কাজে লাগিয়ে লাভবান হওয়ার পাশাপাশি ভারত ও চীনের সঙ্গে সম্পর্কের ভারসাম্য বজায় রাখা নিয়ে প্রতিনিয়ত উদ্বেগে ভুগছে দেশগুলো। এদিক থেকে বাংলাদেশকেই সবচেয়ে সফল বলে মনে করছে মার্কিন থিংকট্যাংক প্রতিষ্ঠান কাউন্সিল অন ফরেন রিলেশনস (সিএফআর)।
প্রতিষ্ঠানটির জুন’২২ মাসে প্রকাশিত এক পর্যবেক্ষণে বলা হয়েছে, দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোয় চীন ও ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়টিতে নানা ধরনের সংবেদনশীলতা দেখা যায়। ভূরাজনীতির পাশাপাশি ¯’ানীয় রাজনীতিতেও এর প্রভাব রয়েছে। ভারত ও পাকিস্তানকে বাদ দিলে দক্ষিণ এশিয়ার অন্য দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ, নেপাল, শ্রীলংকা ও মালদ্বীপে এরই মধ্যে বিআরআই নিয়ে নানামুখী প্রতিক্রিয়া স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। তবে দেশগুলোর মধ্যে বিআরআইকে ইতিবাচক ও সফলভাবে কাজে লাগাতে পেরেছে শুধু বাংলাদেশ। আবার চিরবৈরী দেশ দুটির সঙ্গে সম্পর্কের ভারসাম্য বজায় রাখার পাশাপাশি বাংলাদেশ দুই দেশ থেকেই বিপুল পরিমাণ বিনিয়োগও আদায় করে নিয়েছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ড. ইমতিয়াজ আহমেদ মিডিয়াকে বলেছেন, আমাদের যে পররাষ্ট্রনীতি ‘সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব’ এটা তারই ফলাফল। দুটো দেশের সঙ্গেই আমাদের অর্থনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে। যখনই ভূরাজনীতির কোনো বিষয়ের সঙ্গে সামরিক ব্যাপার জড়িত থাকে, সেখানে যুক্ত হওয়ার বিষয়ে আমাদের আপত্তি থাকে। সবসময় তা-ই হয়ে এসেছে।
সত্যিকার অর্থেই আমাদের কোনো শত্রæ নেই। যখন স্নায়ুযুদ্ধ খুব চরমে ছিল, তখনই আমাদের এ বৈদেশিক নীতিটি তৈরি হয়েছে। এর উপকারও এতদিন বাংলাদেশ খুব ভালোভাবে পেয়েছে। আন্তর্জাতিক মহলও বুঝতে পেরেছে দুটি বৈরী দেশের সঙ্গে অর্থনৈতিক সম্পর্ক রাখতে বাংলাদেশের কোনো ঝামেলা হচ্ছে না।
গত কয়েক বছরে চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কের ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। পাশাপাশি ভারতের নিরাপত্তা স্বার্থগুলোর প্রতিও সংবেদনশীলতা বজায় রেখেছে বাংলাদেশ। দক্ষিণ এশিয়ায় বিআরআই নিয়ে দুর্নাম বাংলাদেশেই সবচেয়ে কম। উদ্যোগটির সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পৃক্ততার সূচনা বিসিআইএম (বাংলাদেশ, চীন, ভারত ও মিয়ানমার) করিডর দিয়ে। চার দেশেই এ করিডর-সংলগ্ন এলাকাকে সম্পদের দিক দিয়ে অনেক সমৃদ্ধ ধরা হয়।
বিসিআইএম করিডর সম্পন্ন হলে এ অঞ্চলে বাণিজ্যের আকার বাড়বে বছরে প্রায় ১৩ হাজার ২০০ কোটি ডলার। তবে এখন পর্যন্ত করিডরটি নিয়ে ভারতের পক্ষ থেকে তেমন কোনো আগ্রহ দেখা যায়নি। এর পরিপ্রেক্ষিতে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে মিয়ানমার হয়ে চীনের কুনমিং পর্যন্ত বিকল্প আরেকটি করিডর গড়ে ওঠার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। এছাড়া এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রকল্পে চীনের অর্থায়ন রয়েছে ১ হাজার কোটি ডলারের বেশি। এসব প্রকল্পের অধীনে সেতু, বিদ্যুৎকেন্দ্র, আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী কেন্দ্র ও একটি অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলা হচ্ছে। এছাড়া জয়দেবপুর থেকে ময়মনসিংহ পর্যন্ত রেলপথ নির্মাণ, এক্সপ্রেসওয়ে ও অন্যান্য প্রকল্পে চীনের আরো প্রায় ৯০০ কোটি ডলার বিনিয়োগ চেয়েছে বাংলাদেশ।
আবার ভারতের সঙ্গেও ঐতিহাসিকভাবেই অনেক ভালো সম্পর্ক বাংলাদেশের। অভিন্ন নদীর পানি বণ্টন, চোরাচালান, সীমান্ত হত্যা ও মাদক পাচারসহ নানা বিষয় নিয়ে নানা মাত্রায় বিতর্ক থাকলেও প্রতিবেশী দুই দেশের সম্পর্কের ঘনিষ্ঠতায় এর কোনো নেতিবাচক প্রভাব দেখা যায়নি। দক্ষিণ এশিয়াকেন্দ্রিক কানেক্টিভিটি প্রকল্পগুলোয়ও দুই দেশ একযোগে কাজ করছে। ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলো এরই মধ্যে চট্টগ্রাম বন্দরে প্রবেশাধিকার পেয়েছে। ২০১৫ সালে সড়কপথে যান চলাচল নিয়ে চুক্তি করেছে বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত ও নেপাল (বিবিআইএন)।
স্বাধীনতার পর থেকেই দেশের আমদানি বাণিজ্যে ভারতের বড় ধরনের প্রভাব দেখা গিয়েছে। কোনো কোনো ভোগ্যপণ্যের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ভারতের ওপর বহুলাংশে নির্ভরশীল। বিষয়টি অনেক ক্ষেত্রেই সংশ্লিষ্ট পণ্যের বাজার অস্থিতিশীল ’ কারণ হয়ে উঠেছে। বিষয়টি বিবেচনায় বাংলাদেশও বাণিজ্য খাতে ভারতের ওপর অতিনির্ভরশীলতা কমানোর বিষয়ে সচেতনতা দেখিয়েছে। যদিও দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে এখন পর্যন্ত এর কোনো প্রভাবই দেখা যায়নি।
বাংলাদেশের পণ্য আমদানি বাণিজ্যে সবচেয়ে বড় অংশীদার হলো চীন। নিত্যপণ্য থেকে শুরু করে শিল্পপণ্যের কাঁচামাল পর্যন্ত সব খাতেই দেশটির অবদান স্পষ্ট। দেশের সামরিক খাতেও আমদানির বড় উৎস হলো চীন। গত পাঁচ বছরে দুই দেশের মধ্যে সমরাস্ত্র বাণিজ্যের আকার বেড়েছে। বর্তমানে চীনের মোট সমরাস্ত্র রফতানির ১৭ শতাংশের গন্তব্য হলো বাংলাদেশে। হিসাবটি মনে রাখার মত।
বিআরআই ও চীন নিয়ে নেপালের অবস্থান সম্পর্কে সিএফআরের পর্যবেক্ষণে উঠে আসে, এক্ষেত্রে তিনটি বিষয় প্রভাবক হিসেবে কাজ করছে। প্রথমত, নেপাল ভারতের প্রতি অতিনির্ভরতা নিয়ে উদ্বিগ্ন। এ অতিনির্ভরতার সুযোগ নিয়ে নেপালের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে ভারতের হস্তক্ষেপের অভিযোগও রয়েছে। দ্বিতীয় প্রভাবকটি হলো ২০১৫ সালের নেপাল ভূমিকম্প। দুই দফার ভয়াবহ ওই ভূমিকম্পের ঘটনার দুই মাসের মাথায় নেপালের ওপর বাণিজ্যিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে ভারত। একই সময়ে দেশটির প্রতি বিপুল পরিমাণ সহায়তা নিয়ে এগিয়ে আসে চীন। একই সঙ্গে সে সময় উদ্ধার তৎপরতা ও চিকিৎসা সহায়তা দিয়েও নেপালকে সহযোগিতা করেছে বেইজিং। তৃতীয় প্রভাবক হলো নেপালের ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টি। দলটি ঐতিহাসিকভাবেই চীনঘেঁষা, যা নেপালের বিআরআই এবং চীন-ভারত সংক্রান্ত দৃষ্টিভঙ্গি তৈরিতে বড় ভূমিকা রেখেছে।
বিআরআই উদ্যোগের সবচেয়ে বড় দুর্নামের উৎস হয়ে উঠেছিল শ্রীলংকার হাম্বানটোটা বন্দর। ২০১৭ সালে বেইজিংয়ের ঋণ পরিশোধ করতে না পেরে বন্দরটি চীনকে লিজ দিয়ে দেয় শ্রীলংকা। তবে দেশটির ভেতরে বিআরআই নিয়ে দৃষ্টিভঙ্গি মিশ্র প্রকৃতির। আবার চীনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা দেশটির সঙ্গে ভারতের সম্পর্কে চিড় ধরিয়েছিল। অতীতে দেশটির রাজনীতিতে ভারতের হস্তক্ষেপের নিদর্শনও রয়েছে। তামিল বিদ্রোহীদের নিয়ে দুই দেশের মধ্যে এক ধরনের অবিশ্বাসের সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল, যার রেশ থেকে গিয়েছে দীর্ঘদিন।
দেশের অবকাঠামো ও বিদ্যুৎ উৎপাদন খাতে চীনের বিপুল পরিমাণে বিনিয়োগ রয়েছে। বিনিয়োগ রয়েছে ভারতেরও। এখন পর্যন্ত এ দুই দেশের পারস্পরিক বিরোধে কোনোটিকেই প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে রাজনৈতিক সমর্থন জানায়নি বাংলাদেশ। এ বিষয়টিই দুই দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কের ভারসাম্য রক্ষার ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রেখেছে বলে মনে করছেন ভূরাজনীতির পর্যবেক্ষকরা।
লেখক : সাংবাদিক,কলাম লেখক।

]]>
https://meemtvusa.com/2022/09/04/%e0%a6%9a%e0%a7%80%e0%a6%a8-%e0%a6%ad%e0%a6%be%e0%a6%b0%e0%a6%a4%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%b8%e0%a6%99%e0%a7%8d%e0%a6%97%e0%a7%87-%e0%a6%ac%e0%a6%be%e0%a6%82%e0%a6%b2%e0%a6%be%e0%a6%a6%e0%a7%87/feed/ 0
সৈয়দ জগলুল পাশা একজন বিশ্ব জালালাবাদী – অলি উদ্দিন শামিম https://meemtvusa.com/2022/06/02/%e0%a6%b8%e0%a7%88%e0%a7%9f%e0%a6%a6-%e0%a6%9c%e0%a6%97%e0%a6%b2%e0%a7%81%e0%a6%b2-%e0%a6%aa%e0%a6%be%e0%a6%b6%e0%a6%be-%e0%a6%8f%e0%a6%95%e0%a6%9c%e0%a6%a8-%e0%a6%ac%e0%a6%bf%e0%a6%b6%e0%a7%8d/ https://meemtvusa.com/2022/06/02/%e0%a6%b8%e0%a7%88%e0%a7%9f%e0%a6%a6-%e0%a6%9c%e0%a6%97%e0%a6%b2%e0%a7%81%e0%a6%b2-%e0%a6%aa%e0%a6%be%e0%a6%b6%e0%a6%be-%e0%a6%8f%e0%a6%95%e0%a6%9c%e0%a6%a8-%e0%a6%ac%e0%a6%bf%e0%a6%b6%e0%a7%8d/#respond Thu, 02 Jun 2022 02:50:52 +0000 https://meemtvusa.com/?p=4918 অতিথি প্রতিবেদকঃ

গনপ্রজান্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সাবেক সচিব ও জালালাবাদ এসোসিয়েশন ঢাকার সাবেক সফল সাধারণ সম্পাদক শ্রদ্ধাভাজন সৈয়দ জগলুল পাশা। বৃহত্তর সিলেটবাসীর অহংকার যার কথা লিখে শেষ করার মতো ক্ষমতা আমার নাই। তারপরও আমার নিজের অভিজ্ঞতা ও কাছে থেকে দেখা কিছু লেখার চেষ্টা করবো। সৈয়দ জগলুল পাশা একজন দক্ষ সংগঠক দেশ প্রেমিক এবং বিশেষ করে বৃহত্তর সিলেটবাসীর কাছের মানুষ সদালাপী উনার পরিবারের সবাই বিলেতে উন্নত জীবন যাপন করে অভ্যস্ত উচ্চ মর্যাদা পূর্ন পরিবারের সন্তান উনি। কিন্তু জনাব সৈয়দ জগলুল পাশা উনার পরিবার পরিজন লন্ডনে ছেড়ে দেশ ও বৃহত্তর সিলেটবাসীর জন্য উনি বাংলাদেশে বসবাস করেন। এখন আসি মূল সাংগঠনিক বিষয় সৈয়দ জগলুল পাশা যখন জালালাবাদ এসোসিয়েশন ঢাকার সাধারন সম্পাদক ও সি এম তোফায়েল সামি স্যার সভাপতি ছিলেন তত্কালীন সময়ে উনি উদ্বোগ নেন বহির্বিশ্বের কাছে জালালাবাদ এসোসিয়েশন বা বৃহত্তর সিলেটবাসীকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে একই প্ল্যাটফর্মে তুলে ধরবেন এবং বাংলাদেশ সহ বহির্বিশ্বে সবাই কে নিয়ে কাজ করবেন। এজন্য তিনি বিশ্বের সকল সিলেটবাসীর সাথে যোগাযোগ শুরু করেন এবং একটি শ্লোগান যোগ করেন ভ্রাতৃত্বের মেলবন্ধনে বহির্বিশ্বে জালালাবাদবাসী। আস্তে আস্তে বহির্বিশ্বে এক এক দেশ করে মধ্যপ্রাচ্য, ইউরোপ, আমেরিকা, আফ্রিকা সহ প্রায় ১৭ বা ১৮টা দেশে জালালাবাদ এসোসিয়েশন প্রতিষ্ঠিত করেন এবং আজীবন সদস্য সংখ্যা বৃদ্ধি করেন। তারই ধারাবাহিকতায় জালালাবাদ এসোসিয়েশন ইতালী ২০১৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। আমার জানামতে এর পূর্বে বা পরে বহির্বিশ্বে অনেক দেশে জালালাবাদ এসোসিয়েশন প্রতিষ্ঠিত হয়। কিন্তু ঢাকা জালালাবাদ এসোসিয়েশনের সাথে কোন সেতুবন্ধন হয় নাই। একমাত্র মরহুম সি এম তোফায়েল সামি ও সৈয়দ জগলুল পাশা স্যার এর সময়ে বিশ্ব জালালাবাদ ঐক্যবদ্ধ হয়। সর্বশেষ ২০১৯ সালে বিশ্ব সিলেট উৎসব ইতালী ও ২০২০ সালের জানুয়ারি মাসে জালালাবাদ এসোসিয়েশন ঢাকার আয়োজনে এবং সৈয়দ জগলুল পাশা ও জালালাবাদ এসোসিয়েশন ইউকের সভাপতি মুহিবুর রহমান মুহিব এর অক্লান্ত পরিশ্রমে বিশ্বের জালালাবাদবাসী ঢাকায় একত্রিত হয়ে জালালাবাদ প্রবাসী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। তাই জালালাবাদ এসোসিয়েশনের আজীবন সদস্য বৃন্দের কাছে আমরা অনুরোধ করবো। জালালাবাদ এসোসিয়েশন বা বৃহত্তর সিলেটবাসীর পূর্বের ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে আগামী ১৮ই জুন জালালাবাদ এসোসিয়েশনের আসন্ন নির্বাচনে সৈয়দ জগলুল পাশা স্যার সহ যোগ্য ব্যক্তিদের কে আপনার মূল্যবান রায় দিয়ে জয় নিশ্চিত করবেন। সবাই ভালো থাকুন নিরাপদে থাকুন সুস্থ থাকুন এটাই আমাদের প্রত্যাশা। ধন্যবাদ সবাইকে।

অলিউদ্দিন শামীম,
প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি জালালাবাদ এসোসিয়েশন ইতালী
আজীবন সদস্য জালালাবাদ এসোসিয়েশন ঢাকা।
সদস্য নং ১৫৫৭

]]>
https://meemtvusa.com/2022/06/02/%e0%a6%b8%e0%a7%88%e0%a7%9f%e0%a6%a6-%e0%a6%9c%e0%a6%97%e0%a6%b2%e0%a7%81%e0%a6%b2-%e0%a6%aa%e0%a6%be%e0%a6%b6%e0%a6%be-%e0%a6%8f%e0%a6%95%e0%a6%9c%e0%a6%a8-%e0%a6%ac%e0%a6%bf%e0%a6%b6%e0%a7%8d/feed/ 0
সিলেটবাসীকে ঐক্যবদ্ধভাবে এই ধর্ষণ, খুন এবং রাহাজানীর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবার আহবানঃ অলি উদ্দিন শামীম https://meemtvusa.com/2020/10/17/%e0%a6%b8%e0%a6%bf%e0%a6%b2%e0%a7%87%e0%a6%9f%e0%a7%87-%e0%a6%9a%e0%a6%b2%e0%a6%ae%e0%a6%be%e0%a6%a8-%e0%a6%98%e0%a6%9f%e0%a6%a8%e0%a6%be-%e0%a6%b0%e0%a7%81%e0%a6%96%e0%a7%87-%e0%a6%a6%e0%a6%be/ https://meemtvusa.com/2020/10/17/%e0%a6%b8%e0%a6%bf%e0%a6%b2%e0%a7%87%e0%a6%9f%e0%a7%87-%e0%a6%9a%e0%a6%b2%e0%a6%ae%e0%a6%be%e0%a6%a8-%e0%a6%98%e0%a6%9f%e0%a6%a8%e0%a6%be-%e0%a6%b0%e0%a7%81%e0%a6%96%e0%a7%87-%e0%a6%a6%e0%a6%be/#respond Sat, 17 Oct 2020 15:09:16 +0000 https://meemtvusa.com/?p=1590

সিলেটে এ কি হচ্ছে ” একের পর এক খুন, ধর্ষণ আর রাহাজানীতে সিলেটবাসী অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে তাই বৃহত্তর সিলেটবাসীর দৃষ্টি আর্কষণ করে তিনি বলেন আসুন আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে এই ধর্ষণ, খুন এবং রাহাজানীর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াই নতুবা আমরা কেহই রেহাই পাব না। আমরা যদি এর প্রতিবাদ না করি তাহলে আমরা আমাদের নিজেদের কাছে তথা সমাজের মানুষের কাছে হেয় প্রতিপন্ন হয়েই যাবো। তাই আমাদের এখনই সোচ্চার হতে হবে এবং এর তীব্র প্রতিবাদ জানাতে হবে।

সিলেটের এমসি কলেজের ঘটনা এবং রায়হানের ঘটনার জন্য জালালাবাদ এসোসিয়েশন ইতালীর পক্ষ থেকে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। এবং অপরাধীদের অনতিবিলম্বে আইনের আওতায় এনে দ্রুততম সময়ের মধ্যে সুষ্ঠু বিচারের দাবী করছি। ইতোমধ্যে সিলেটের বিভিন্ন পেশাজীবি সংগঠন, সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠনগুলো এমনকি মিডিয়াও এর তীব্র প্রতিবাদ, নিন্দা ও অপরাধীদের আইনের আওতায় এনে বিচারের দাবিও জানান। তিনি জালালাবাদ এসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। সেই সাথে বৃহত্তর সিলেট বিভাগের প্রতিটি সচেতন নাগরিককে অনুরোধ করেন, এই হত্যা রাহাজানি ও ধর্ষণের বিরুদ্ধে নিজ নিজ অবস্থান থেকে রুখে দাঁড়াই ও এর তীব্র প্রতিবাদ করি।

সর্বশেষে তিনি সকলে সচেতন এবং সর্বদা সুস্থ ও নিরাপদ থাকার অনুরোধ করেন। আল্লাহ আমাদের সবাইকে এই নেক্কারজনক ঘটনার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবার শক্তি দান করুক।

]]>
https://meemtvusa.com/2020/10/17/%e0%a6%b8%e0%a6%bf%e0%a6%b2%e0%a7%87%e0%a6%9f%e0%a7%87-%e0%a6%9a%e0%a6%b2%e0%a6%ae%e0%a6%be%e0%a6%a8-%e0%a6%98%e0%a6%9f%e0%a6%a8%e0%a6%be-%e0%a6%b0%e0%a7%81%e0%a6%96%e0%a7%87-%e0%a6%a6%e0%a6%be/feed/ 0