আখলাছ আহমেদ প্রিয়, হবিগঞ্জ \
শারদীয় উৎসবকে সামনে রেখে মাধবপুর ও চুনারুঘাটে চোরাচালান ও মাদক ব্যবসায়িরা তৎপর হয়ে উঠেছে। গত বৃহস্পতিবার চুনারুঘাটে ১১ বোতল সিগনেচার ও ৩৫ বোতল ফেনসিডিলসহ নাজমুল ইসলাম উরফে শাহআলম (৩২) নামে এক মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তার করেছে চুনারুঘাট থানা পুলিশ। আটক শাহআলম উপজেলার গাজিপুর ইউনিয়নের বনগাও গ্রামের আব্দুল কুদ্দুছের পুত্র।
এসময় পুলিশের উপস্থিত টের পেয়ে তার সহযোগী পালিয়ে যায়। গতকাল শুক্রবার বিকেলে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চুনারুঘাট থানার এসআই খোরশেদ আলম এর নেতৃত্বে একদল পুলিশ গাজিপুর ইউনিয়নের জারুলিয়া ব্রিজ এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করেন।
এ তথ্য নিশ্চিত করে চুনারুঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইন্সপেক্টর তদন্ত গোলাম মোস্তফা জানান, ভারত সীমান্ত থেকে মাদক পাচারকালে শাহআলমকে আটক করা হয়। পরে তার বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে। এ ধরনের অভিযান অব্যাহত আছে।
অনুসন্ধানে জানা যায়, চুনারুঘাট ও মাধবপুরে শারদীয় উৎসবকে সামনে রেখে চোরাচালান ও মাদক ব্যবসায়িরা তৎপর হয়ে উঠেছে। উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকায় আনাচে-কানাচে হাত বাড়ালেই পাওয়া যাচ্ছে ভারতীয় বিভিন্ন ব্র্যান্ডের মদ। সন্ধ্যা হলেই বেপরোয়া হয়ে উঠে মাদক বিক্রেতা ও মাদক সেবীরা। অন্তত ৫০টি পয়েনট দিয়ে অবাধে চলছে মাদক পাচার। সন্ধ্যার পরে মাতালদের কবলে পড়ে সাধারণ মানুষ বিব্রত বোধ করতেও দেখা গেছে। থানা পুলিশ মাঝে-মধ্যে অভিযান চালালেও মদ বিক্রি বন্ধ করা যাচ্ছে না। এসব মাদক বিক্রেতার পেছনে প্রভাবশালীরাও জড়িত রয়েছে বলে অনেকেই মন্তব্য করেছেন।
স্থানীয় একাধিক মানুষ জানিয়েছেন, মাধবপুরের তেলিয়াপাড়া, চুনারুঘাটের কেদারাকোর্ট, টেকেরেঘাট, চিমিটিবিল, গুইবিল, আসামপাড়াসহ অন্তত শতাধিক স্পটে ভারতীয় মাদক বিক্রি হচ্ছে দেদারসে। এ ছাড়া সীমান্ত পথে প্রতিদিনই ভারতীয় মদের ছোট-বড় চালান সীমান্তবর্তী হয়ে বিভিন্ন অঞ্চলে যাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।