এতিম বিয়ানীবাজার ছাত্রলীগের নীরব আর্তনাদ-আবু হানিফ

admin
  • আপডেট টাইম : সেপ্টেম্বর ০৭ ২০২৩, ২০:৩৬
  • 619 বার পঠিত
এতিম বিয়ানীবাজার ছাত্রলীগের নীরব আর্তনাদ-আবু হানিফ

আবু হানিফ :নেতৃত্ব সৃষ্টি ও বিকাশের উর্বর জনপদ ও মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তির দুর্জয় দূর্গ হিসাবেই পরিচিত ঐতিহ্যবাহী বিয়ানীবাজার। কিন্তু সর্বমহলেই গুঞ্জন আছে যে এই শহরের ছাত্রলীগ শক্তিশালী ও প্রগতিশীল হওয়া স্বত্তেও এরা প্রকৃত এতিম।নৌকার নিরঙ্কুশ বিজয় আদায়সহ অপশক্তি প্রতিরোধের আন্দোলন-সংগ্রামে এখানকার ছাত্রলীগ অগ্রণী ভূমিকা পালন করে।একক আধিপত্য বিস্তার করার নোংরা মনমানসিকতার কারণে স্বার্থান্বেষী মহল আওয়ামী পরিবারের অভ্যন্তরীণ কোন্দলকে উসকে দেয় দেয় এবং ছাত্রলীগকে নিয়ে নানান ষড়যন্ত্রে মেতে উঠে। কিন্তু এই সকল বঞ্চনা,ষড়যন্ত্র ও বিদ্বেষ উপেক্ষা করে চেতনার দৃঢ়তা ও আদর্শিক দায়বদ্ধতার কারণে বিয়ানীবাজার ছাত্রলীগ শেখ হাসিনার পথ মসৃন করার কাজসহ সকল সাংগঠনিক কর্মসূচি,কর্মকাণ্ড যথারীতি পালন করে।এখানেই তারা ক্ষান্ত নয় যখন -ই রাজপথসহ রাজনৈতিক অঙ্গনে যখন কুচক্রী মহল অপতৎপরতা চালায় তখন আদর্শিক শক্তি প্রয়োগ করে ছাত্রলীগ শক্ত হাতে প্রতিহত করে দুষ্কৃতকারীদের। বিচার বিবেচনা করলে স্পষ্ট ধারণা অনায়াসে পাওয়া যাবে যে,এখনাকার ছাত্রনেতাদের মেধা,সাহস,বিচক্ষণতা,নেতৃত্বগুণ তাদেরকে অন্যদের থেকে আলাদা রাখে।এই জনপদ অগগণ যোগ্য নেতৃত্বের বাগান বললেও ভুল হবে না।তবে সৌরভ ছড়ানো এই সকল ফুলগুলো প্রচুর অবহেলিত।তবে পরিচয় বঞ্চিত হওয়া স্বত্তেও উদ্যমী ছাত্রলীগ এরা। প্রায় দুই যুগ পূর্বে এখানে ছাত্রলীগের কমিটি গঠন করে হয়েছি যার স্থায়ীত্ব খুব অল্প ছিলো।সেদিন আজ অনেক প্রজন্মের কাছে কেবলই এক ইতিহাস। এত সক্রিয়ভাবে রাজপথে কাজ করার পরেও যখন সাংগঠনিক পরিচয় বঞ্চিত তখন তো বিয়ানীবাজার ছাত্রলীগকে নিরুপায়,অসহায়,বঞ্চিত,অবহেলিত বলার অপেক্ষা থাকে না।স্থানীয় আওয়ামীলীগকে-ই ছাত্রলীগের পরিচয়হীন অবস্থার জন্য অনেকেই দ্বায়ী করেন। তবুও বুকের ভেতরের আক্ষেপ চেপে রেখেও নির্দ্বিধায় আওয়ামীলীগের ডাকে সারা দেয় বরাবরই বিয়ানীবাজার ছাত্রলীগ।স্থানীয় আওয়ামীলীগের কেউ কেউ ছাত্রলীগের এই সাংগঠনিক পরিচয়ের দাবির সাথে একাত্মতা পোষণ করলেও সবাই এগিয়ে না আসায় আবার আঁধারে ডুব দেয় এখানের ছাত্রলীগ।”ত্যাগীরা অভিমানী হয় তবে বেইমান না” এই কথাটির সত্যতা বিয়ানীবাজার ছাত্রলীগ প্রমাণ করে।এই উপজেলার উল্লেখ্যযোগ্য অনেক নেতাকর্মী কৃতিত্বের সঙ্গে ছাত্ররাজনীতির জীবন কাটানোর পরে দিনশেষে পরিচয় হিসেবে সাবেক নন্দিত,সংগ্রামী,মেধাবী ছাত্রনেতা এরকম কিছু তকমা নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয় ভাগ্যে জুটে না ছাত্রলীগের সাংগঠনিক কোনো পরিচয়।তবুও তাদের কোন অভিযোগ নেই কারণ তারা মনে করে ছাত্রলীগের একজন সাধারণ কর্মী হওয়াও অনেক গৌরবের বিষয়।তাই বলে কি সাংগঠনিক কোন পরিচয় তাদের প্রাপ্য নয়?যেকোনো সংগঠনের গতিশীলতা বৃদ্ধি ও ভাবমূর্তি অক্ষুণ্ণ রাখতে জবাবদিহিতার জায়গার প্রয়োজন রয়েছে যে ক্ষেত্রে কমিটির কোনো বিকল্প নেই।যেখানে ছাত্রলীগের কমিটির স্বপ্ন দেখাকে লোকজন হাস্যরসের খোরাক মনে করে সেখানেই নতুন করে আরেকবার এখানকার ছাত্রলীগের স্বপ্নবাজ নেতাকর্মীদের মনে নতুন অধ্যায়ের সূচনা ও দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান হবে এমন আশার প্রদীপ জ্বলেছে।সিলেট জেলা ছাত্রলীগের দিকে চেয়ে বসে আছেন তারা আর এই দাবির প্রতি জেলা ছাত্রলীগও যথেষ্ট আন্তরিকতা দেখাচ্ছে। দেখা যাক অতঃপর কি হয়?

0Shares
এই ক্যাটাগরীর আরো খবর