হবিগঞ্জে তীব্র শীতে কাঁপছে মানুষ

admin
  • আপডেট টাইম : জানুয়ারি ০৫ ২০২৩, ২১:০৪
  • 569 বার পঠিত
হবিগঞ্জে তীব্র শীতে কাঁপছে মানুষ

আখলাছ আহমেদ প্রিয়, হবিগঞ্জ \

হবিগঞ্জে তীব্র শীতে কাঁপছে মানুষ। মৌসুমের শুরুতে শীতের তেমন প্রকোপ না থাকলেও, পৌষ মাসের মাঝামাঝি সময়ে এসে শৈত্যপ্রবাহে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়ছে। বিশেষ করে সকালে ও সন্ধ্যার পর কনকনে ঠান্ডা অনুভুত হয়। সেই সাথে ঘন কুয়াশার চাদরে ডাকা পরে চারপাশ। দিনের বেশিরভাগ সময়ই দেখা মিলে না সূর্যের।
শীতের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় জনজীবন অনেকটা স্থবির হয়ে পড়েছে। বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষেরা।
হবিগঞ্জের প্রতিবেশী উপজেলা শ্রীমঙ্গলে গেল কয়েকদিন ধরে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। ফলে এর প্রভাব পড়েছে হবিগঞ্জে। জেলার উপর দিয়ে গত কয়েকদিন ধরেই মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।
বোরো আবাদ ব্যাহত, নষ্ট হচ্ছে ফসল
তীব্র শীত ও ঘন কুয়াশায় জেলায় বোরো ধানের বীজতলা নষ্ট হওয়া নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন কৃষকরা। সেই সাথে তীব্র ঠান্ডার কারণে বোরো রোপনেও ব্যাঘাত ঘটছে। জেলার বানিয়াচং, আজমিরীগঞ্জ ও লাখাই উপজেলার অনেক স্থানে মিলছে না শ্রমীক। কৃষকদের আশঙ্কা- শীত অব্যাহত থাকলে পিছিয়ে যাবে বোরো আবাদ। এতে আগাম বন্যায় ফসলহানির সঙ্কাও করছেন তারা।
অন্যদিকে, মাধবপুর, বাহুবল ও চুনারুঘাট উপজেলার শীতকালিন সবজিগুলোও কনকনে ঠান্ডা ও ঘর কুয়াশায় নষ্ট হওয়ার উপক্রম। এতে দুশ্চিন্তায় চাষিরা। বেড়েছে গরম কাপড়ের চাহিদা
তীব্র হয়ে শীত জেঁকে বসার কারণে জেলায় চাহিদা বেড়েছে শীতের পোষাকের। আগের তুলনায় গেল কয়েকদিন ধরে শীতের কাপড়ের দোকানগুলোতে ভীড় বাড়ছে ক্রেতাদের। বিশেষ করে ফুটপাতের দোকানগুলোতে সার্বক্ষণিক লেগে থাকছে ক্রেতাদের জটলা।
ক্রেতাদের অভিযোগ- এ বছর শীতের পোষাকের কালেকশন কম, তবে দাম একটু বেশি। তবে বিক্রেতারা বলছেন- হঠাৎ করেই শীত ঝেঁকে বসায় কালেকশন সম্ভব হয়নি। তবে শীত অব্যাহত থাকলে নতুন কাপড় আনা হবে। যদিও দাম কমার কোন আশা দেখছেন না তারা।
এদিকে, তীব্র শীতে সবচেয়ে বেশি কষ্টে আছেন হতদরিদ্র মানুষগুলো। এখনও শীতবস্ত্র উপহার না পাওয়ায় দিন আনা দিন খাওয়া মানুষগুলো রয়েছে নিদারুণ কষ্টে। একই অবস্থা বাড়ি-ঘর হারা পথে ঘুমানো শিশু-কিশোর ও মানষিক প্রতিবন্ধীরা।

0Shares
এই ক্যাটাগরীর আরো খবর