বিশ্ব ফুটবলের তারকাদের পায়ের জাদু দেখতে পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা প্রায় ১২ লাখ মানুষ এই মুহূর্তে রয়েছেন সেই দেশে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) ফেরত এক গবেষক কিন্তু সিঁদুরে মেঘ দেখছেন। কাতারে ফিফা বিশ্বকাপ ২০২২ দেখতে যাওয়া ফুটবলপ্রেমীদের সতর্ক করে তিনি বলেছেন, কোভিড ১৯-এর থেকেও ভয়ংকর আকার ধারণ করতে চলেছে ‘মিডলইস্ট রেসপিরেটরি সিনড্রোম’। স্থানীয়দের কাছে যা ক্যামেল ফ্লু নামে পরিচিত। ২০১২ সালে সৌদি আরবে প্রথম এই রোগের সন্ধান পাওয়া যায়। লন্ডনের একটি বিজ্ঞানভিত্তিক ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, আরবে এখন পর্যন্ত ২৬০০ মানুষের দেহে এই ভাইরাসের অস্তিত্ব মিলেছে। আরবে যাওয়া পর্যটকদের মধ্যে উটে চড়া বা ‘সাফারি’ করা নিয়ে উন্মাদনা থাকে, তাই কাতারে ফুটবল দেখতে যাওয়া সবাইকে সতর্ক করা হয়েছে। বলা হয়েছে, তারা যেন উটের সংস্পর্শে না আসেন। যদিও সেদেশের পর্যটন ব্যবসা প্রসারের জন্য উট সাফারির বিজ্ঞাপন এখনো রয়েছে চারদিকে। গবেষকরা বলেছেন, ফিফা বিশ্বকাপ ২০২২ নিঃসন্দেহে এই সংক্রামক ব্যাধির আঁতুড়ঘর। বিভিন্ন দেশের খেলোয়াড়, সমর্থক এবং স্থানীয়দের মাধ্যমে সারা পৃথিবীতে এই ভাইরাস ছড়িয়ে আবারও এক অতিমারির আকার ধারণ করতে পারে বলে মনে করছেন তারা। যদিও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পক্ষ থেকে এখনো ‘মার্স-সিওভি’ সংক্রান্ত কোনো বিধিনিষেধের নির্দেশিকা জারি করা হয়নি। করোনার উপসর্গের মতোই ক্যামেল ফ্লু হলে জ্বর, সর্দি, কাশি, শ্বাসকষ্টের মতো লক্ষণ দেখা যায়। এই ধরনের ভাইরাসবাহিত রোগের ক্ষেত্রে ‘নিউমোনিয়া’ হওয়া স্বাভাবিক। এছাড়াও ডায়রিয়া এবং পেটে অন্ত্রজনিত সমস্যা হওয়াও অস্বাভাবিক নয়। এখন পর্যন্ত এই রোগে আক্রান্তের মধ্যে মৃত্যুর হার ৩৫ শতাংশ।
২৮ নভেম্বর ২০২২ অনলাইন সংস্করণ যুগান্তর