হবিগঞ্জে মামার বিরুদ্ধে ভাগ্নার জমানো সাড়ে ৩ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

admin
  • আপডেট টাইম : নভেম্বর ২১ ২০২২, ২১:৩৪
  • 588 বার পঠিত
হবিগঞ্জে মামার বিরুদ্ধে ভাগ্নার জমানো সাড়ে ৩ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি \ হবিগঞ্জ সদর উপজেলার রাজিউড়া ইউনিয়নের হুরগাও গ্রামে ভাগ্নার দীর্ঘদিনের জমানো প্রায় সাড়ে ৩ লাখ টাকা মামার বিরুদ্ধে আত্মসাতের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। তাছাড়া জমাকৃত ওই টাকা ফেরত না দিয়ে মামা তার বোনের সহযোগিতায় উল্টো ভাগ্নাকে প্রাণ নাশের হুমকি-ধামকি দিচ্ছেন বলেও রয়েছে অভিযোগ। বিষয়টি এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে সচেতন মহলে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এ ঘটনায় গত ৬ নভেম্বর নিরাপত্তা চেয়ে হবিগঞ্জ সদর মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেছেন ভাগ্না মোঃ মুক্তার মিয়া। তাছাড়া বিষয়টি লিখিত ভাবে হবিগঞ্জ সদর মডেল থানা পুলিশকে অবগত করেছেন বলেও জানান মুক্তার মিয়া।
সাধারণ ডায়েরী ও অভিযোগ সূত্র জানায়, ছোট বেলা থেকেই মুক্তার মিয়া উপজেলার হুরগাও গ্রামে তার নানী মৃত জিতু মিয়ার স্ত্রী দয়া বেগমের কাছে লালিত-পালিত হন। এর পর সে ৭ বছর বয়স থেকে নানী দয়া বেগমের কাছে থেকে স্থানীয় নুুুরুল হক মিয়ার বাড়িতে রাখালের চাকুরী করে আসছেন। এ সুবাধে বিভিন্ন সময়ে উপার্জিত বেতনের ৩ লাখ টাকা তার মামা নবীর হোসেনের কাছে জমা রাখেন মুক্তার মিয়া। এর আগে নবীর হোসেন তাকে সিএনজি কিনে বলেন বলে টাকা জমা করার পরামর্শ দেন নবীর হোসেন। তার কথানুযায়ী মুক্তার মিয়া ৮/৯ বছরে নবীর হোসেনের কাছে ৩ লাখ ৩৪ হাজার টাকা জমা করেন।
এক পর্যায়ে মুক্তার মিয়া তার মামা নবীর হোসেনের কাছে জমাকৃত ওই টাকা ফেরত চাইলে তিনি সিএনজি চালানো শিখতে পরামর্শ দেন। এতে চাকুরী ছেড়ে সিএনজি চালানো শিখে মুক্তার মিয়া। এর পর সে তার মামাকে ওই টাকার জন্য চাপ দেয়। এ সময় নবীর হোসেন তাকে জমাকৃত ওই টাকা না দিয়ে মুক্তার মিয়ার সাথে শহরের শায়েস্তানগরে তার বোনের মেয়ে সুমা আক্তারকে জোর পূর্বক বিয়ে করিয়ে দেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে। সম্প্রতি মুক্তার মিয়া পুনরায় ওই টাকা ফেরত চাইলে নবীর হোসেন টাকা না দিয়ে টালবাহানা করেন।
শুধু তাই নয়, দীর্ঘ ৩ বছর ধরে মুক্তার মিয়া ও তার নানী দয়া বেগমের বসতঘর তালাবদ্ধ করে রেখেছেন নবীর হোসেন। যে কারনে তার নানী দয়া বেগম স্থানীয় সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান শেখ কামালের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে তাদের মধ্যে মন মালিন্যতা সৃষ্টি হয়।
এদিকে, বিয়ের পর মুক্তার মিয়া জানতে পারেন তার স্ত্রীর সুমা আক্তারের আরো ৩টি বিয়ে হয়েছে। তাছাড়া বিভিন্ন সময় তাকে ফেলে সুমা আক্তার অন্যত্র চলে যায়। এরপর কয়েক দিন পর বাড়িতে আসে এবং মাঝে মধ্যে রাত্রি বেলা ঘরে থাকেনা বলেও অভিযোগে বলা হয়েছে। বিষয়টি মুক্তার মিয়া গ্রামের মুরুব্বীয়ানকে অবগত করেন। এতে করে তার মামা নবীর হোসেন, খালা জাহানারা আক্তার ও খালাতো বোন (স্ত্রী) সুমা আক্তার তার ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন। এক পর্যায়ে এর জের ধরে তারা বিভিন্ন সময় মুক্তার মিয়াকে প্রান নাশের হুমকি-ধামকি দিচ্ছেন। এ বিষয়ে তিনি সুষ্টু তদন্তের মাধ্যমে প্রশাসনের কাজে সঠিক বিচার কামনা করেছেন।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার এসআই নাজমুল বলেন, ‘এ বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছিলাম। পরে জানতে পারি তাদের মধ্যে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে পারিবারিক বিরোধ ও মন মালিন্যতা রয়েছে।’

0Shares
এই ক্যাটাগরীর আরো খবর