মানসিক হাসপাতালে পরিচয় প্রেম ও বিয়ে

admin
  • আপডেট টাইম : নভেম্বর ১৪ ২০২২, ২১:৩৬
  • 595 বার পঠিত
মানসিক হাসপাতালে পরিচয় প্রেম ও বিয়ে

৪২ বছরের মাহেন্দ্রন বাইপোলার ডিসঅর্ডারে ভুগছিলেন। এ রোগে তিনি নানা রকম বিষণ্নতায় ভোগতেন। এ অবস্থা কয়েকদিন থেকে কয়েক সপ্তাহ স্থায়ী হতো। অন্যদিকে বাবার মৃত্যুর শোকে ৩৬ বছরের দীপা মানসিক চাপে পড়েছিলেন। তারা দুজনেই মানসিক হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। আর সেখানেই তাদের পরিচয়। সেই পরিচয় গড়ায় প্রেমে। সেখানে ২৮ অক্টোবর তাদের বিয়ে হয়েছে। খবর এনডিটিভির।

ভারতের ২২৫ বছরের পুরোনো চেন্নাইর ইনস্টিটিউট অব মেন্টাল হেলথে (আইএমএইচ) মাহেন্দ্রন বাইপোলার ডিসঅর্ডারে ভুগছেন। আর দীপা বাবার মৃত্যুতে শোকাগ্রস্ত হয়ে মানসিক অবসাদে চলে যান। ২০২০ সালে দীপাকে প্রথমবার দেখেই প্রেমে পড়েন মাহেন্দ্রন। দীপাও সেই ডাকে সাড়া দেন। দীপা বলেন, আমি তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত দিতে পারিনি, সময় চেয়েছিলাম। যখন আমি বললাম হ্যাঁ, তখন অন্যরকম উত্তেজনা কাজ করছিল। মাহেন্দ্রনও জানান, প্রথমবার দীপার আচার-আচরণ দেখেই তার ভালো লেগে যায়। দীপা মানুষের প্রতি খুবই যত্নশীল। চিকিৎসক, নার্স এবং অন্য আইএমএইচ কর্মীদের উপস্থিতিতে হাসপাতাল ভবনে ২৮ অক্টোবর তারা গাঁটছড়া বাঁধেন। অনুষ্ঠানে পুরোহিত এবং দুপক্ষের পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। এতে তামিলনাড়ুর স্বাস্থ্যমন্ত্রী সুব্রামানিয়ানও উপস্থিত ছিলেন। সুব্রামানিয়ানকে উদ্ধৃত করে এনডিটিভির খবরে বলা হয়, ‘এটা আসলেই অন্য রকম বিয়ে ছিল। আমার জীবনে এমন অভিজ্ঞতা একেবারেই প্রথম। হাসপাতালকর্মীদের প্রশংসা করে তিনি বলেন, সবাই পরিবারের মতো আচরণ করেছেন।

বিয়েতে নতুন দম্পতি অনেক উপহার পেয়েছে। তবে সবকিছু ছাপিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী সুব্রামানিয়ানের উপহারটি সবাইকে অবাক করেছে। নয়া দম্পতিকে ১৫ হাজার রুপি বেতনে ওই হাসপাতালের ওয়ার্ড ম্যানেজারের চাকরি দিয়েছেন মন্ত্রী। আইএমএইচের পরিচালক ডা. পূর্ণ চন্দ্রিকা অনুষ্ঠানটিকে ‘পারিবারিক বিয়ে’ বলে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেন, তারা দুজনে মিলে বিয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। এতে আমরা সবাই খুব খুশি। চিকিৎসাধীন অবস্থায় মাহেন্দ্রন হাসপাতালের ডে-কেয়ার সেন্টারে কাজ করতেন। আর দীপা হাসপাতালের রোগীদের মাধ্যমে পরিচালিত ক্যাফেতে কাজ করতেন। তারা দুজনেই হাসপাতালের ‘হাফ ওয়ে হোম’-এ থাকতেন। এটি সুস্থ হয়ে ওঠাদের আবাসিক ক্যাম্পাস।

0Shares
এই ক্যাটাগরীর আরো খবর