২৯ বছর পর পুলিশ সদস্যের যাবজ্জীবন কারাদন্ড

admin
  • আপডেট টাইম : নভেম্বর ০৯ ২০২২, ২১:৪০
  • 587 বার পঠিত
২৯ বছর পর পুলিশ সদস্যের যাবজ্জীবন কারাদন্ড

আখলাছ আহমেদ প্রিয়, হবিগঞ্জ  \

হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার শাহজীবাজার রেল স্টেশনে কলেজ ছাত্রকে রাইফেল দিয়ে গুলি করে হত্যার অভিযোগে এক রেল পুলিশ সদস্যকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে আসামিকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। ঘটনার ২৯ বছর পর গতকাল বুধবার দুপুরে হবিগঞ্জের বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ-১ মোঃ আজিজুল হক এ দন্ডাদেশ দেন। আদেশে উল্লেখ করেন উক্ত ১০ লাখ টাকা নিহতের পরিবারকে দেয়ার জন্য। দÐপ্রাপ্ত রওশন আলী কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার রাজাপুর গ্রামের বাসিন্দা দেওয়ানুল ইসলামের পুত্র। যার কনস্টেবল নং-৬৫৩। রায় ঘোষণাকালে আসামি পলাতক ছিল। রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন আইনজীবি সমিতির সভাপতি অতিরিক্ত পিপি সালেহ উদ্দিন আহমেদ।
আদালতের পেশকার সৈয়দ গোলাম হাদী জুয়েল জানান, ১৯৯৩ সালের ২১ ডিসেম্বর শায়েস্তাগঞ্জ থেকে শাহজীবাজার যাবার জন্য লোকাল ট্রেনে উঠেন মাধবপুর উপজেলার কালিকাপুর গ্রামের মৃত কাজী আব্দুল মমিনের পুত্র সরকারি বৃন্দাবন কলেজের ছাত্র কাজী আলা উদ্দিন ও তার বন্ধু সরোয়ার আলম এবং সাইফুল ইসলাম রিংকু। ট্রেনটি শাহজীবাজারে পৌঁছলে দায়িত্বরত রেল পুলিশ রওশন আলী ও আনসার সদস্য শহিদ এবং রমিজের সাথে তাদের বাগবিতÐা হয়। এ ঘটনার প্রতিবাদ করেন স্থানীয় চার যুবক। এক পর্যায়ে রওশন আলী ক্ষিপ্ত হয়ে রাইফলেন দিয়ে তাদের ওপর গুলি চালান। এতে ঘটনাস্থলেই কাজী আলাউদ্দিন নিহত হন। গুলিতে আলাউদ্দিনের পেটের নাড়ি ভ‚ড়ি বের হয়ে যায়। এ সময় আহত হন আরো দুজন।
হবিগঞ্জের তৎকালীন পুলিশ সুপার মাধবপুর থানার ওসি নিয়াজ মোহাম্মদকে গুলিবর্ষণকারীদের গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেন। জিআরপি পুলিশের কনস্টেবল আতাউর রহমান, রওশন আলী, জসিম উদ্দিন, আনসার সদস্য আব্দুল মালেক, আছাব আলী, সহিদ মিয়া ও রমিজ উদ্দিনকে নিরস্ত্র করে গ্রেপ্তার করেন ওসি। পুলিশের কাছে তাৎক্ষণিক জিআরপি পুলিশের কনস্টেবল রওশন আলী গুলি করার কথা স্বীকার করলে অন্যদের ছেড়ে দেয়া হয়।
নিহত কাজী আলাউদ্দিনের চাচা কাজী আব্দুল কাদির বাদি হয়ে ২২ ডিসেম্বর শ্রীমঙ্গল রেলওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নিকট একটি এজাহার দায়ের করেন। শ্রীমঙ্গল জিআরপি পুলিশের তখনকার ওসি মিজানুর রহমান তদন্ত শেষে ১৯৯৬ সালের ২৬ আগস্ট রেল পুলিশ কনস্টেবল রওশন আলীর বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। দীর্ঘদিন মামলা চলাকালে পুলিশ কনস্টেবল রওশন আলী উচ্চ আদালত থেকে জামিন লাভ করে। এরপর হাজিরা না দিলে আদালত তার বিরুদ্ধে পরোয়ানা ইস্যু করেন। বিজ্ঞ বিচারক সাতজনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে গতকাল বুধবার দুপুরে এ রায় দেন। পেশকার আরও জানান, আদালতের আদেশ মতে পরোয়ানা সংশ্লিষ্ঠ থানায় প্রেরণ করা হবে।

0Shares
এই ক্যাটাগরীর আরো খবর