হবিগঞ্জে শিক্ষা অফিসারের দুর্নীতি তদন্তকালে হট্টগোল-হাতাহাতি

admin
  • আপডেট টাইম : নভেম্বর ০৩ ২০২২, ২০:৫৫
  • 592 বার পঠিত
হবিগঞ্জে শিক্ষা অফিসারের দুর্নীতি তদন্তকালে  হট্টগোল-হাতাহাতি

আখলাছ আহমেদ প্রিয়, হবিগঞ্জ  \

হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জ উপজেলা শিক্ষা অফিসার মাহমুদুল হকের অনিয়ম দূর্নীতি তদন্তকালে দু’দল শিক্ষকদের মধ্যে হট্টগোল ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার দুপুরের পর থেকে শিক্ষকদের হট্টগোল ও হাতাহাতির ঘটনার ভিডিও চিত্র ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে। যা নিয়ে অনেকেই ভিন্ন ভিন্ন মন্তব্য করতে দেখা গেছে। এদিকে, ঘটনার খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুলতানা সালেহা সুমি। যদিও পরবর্তীতে নির্বিঘেœই সম্পন্ন হয় তদন্ত কাজ।
খেঁজ নিয়ে জানা যায়, গত এপ্রিল মাসের ২১ তারিখ প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবরে উপজেলার সবকটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মোট ১০২ জন শিক্ষক-শিক্ষিকার স্বাক্ষর সম্বলিত উপজেলা শিক্ষা অফিসার মাহমুদুল হকের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ এনে একটি লিখিত আবেদন দাখিল করেন। এতে উল্লেখ করা হয়, এপ্রিল মাসের ৪ তারিখ উপজেলার কাটাখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক স্বস্থি রাণী দাস স্থানীয় সোনালী ব্যাংক থেকে ব্যক্তিগত লোন নিতে ফরমে স্বাক্ষর নেয়ার জন্য উপজেলা শিক্ষা অফিসার মাহমুদুল হকের কাছে যান। সেখানে যাওয়ার পর মাহমুদুল হক ওই শিক্ষকের সাথে বাজে ব্যবহারসহ উগ্র আচরণ করেন। একপর্যায়ে শিক্ষক স্বস্থি রাণী দাসকে তার অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে অফিস থেকে বের করে দেন মাহমুদুল হক। পরবর্তীতে অনুমতি নিয়ে পুনরায় তার অফিসে প্রবেশ করলে শিক্ষক স্বস্থি রাণী দাসকে শোকজসহ বিভাগীয় মামলার ভয় দেখান তিনি।
এছাড়াও পাহাড়পুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মনোরঞ্জন চৌধুরী হবিগঞ্জের সোনালী ব্যাংক থেকে ব্যক্তিগত লোনের ফরমে স্বাক্ষর নিতে চাইলে উপজেলা শিক্ষা অফিসার মাহমুদুল হক কর্তৃক অপমানিত ও লাঞ্চিত হন। ইংরেজী বিষয়ে উচ্চতর প্রশিক্ষণনের জন্য দুইজন শিক্ষকের নাম প্রেরণ করতে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ প্রস্তাব করলে মানসম্মত শিক্ষক থাকার পরেও উপজেলা শিক্ষা অফিসার মাহমুদুল হক তাদের নাম বাদ দিয়ে তার অনুগত শিক্ষকদের নাম প্রেরণ করেন। এসব ঘটনার প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে উপজেলা শিক্ষা অফিসার মাহমুদুল হকের কার্যালয়ে তদন্তের জন্য যান সিলেট জেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ও তদন্ত কর্মকর্তা মারুফ আহমেদ চৌধুরী। এসময় তদন্তকালে দু’পক্ষের দু’জন শিক্ষক বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়েন। পরে শিক্ষকদের মধ্যে হট্টগোল ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এর পুর্বে উপজেলা শিক্ষা অফিসে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর উপপরিচালক তদন্তের (তদন্ত ও শৃঙ্খলা) দিন ধার্য করেন। এতে উপস্থিত থাকার জন্য উপজেলা শিক্ষা অফিসার মাহমুদুল হককে অফিস আদেশের মাধ্যমে বিষয়টি জানিয়ে দেয়া হয়।
এ বিষয়ে জানতে সিলেট জেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ও তদন্তকারী কর্মকর্তা মারুফ আহমেদ চৌধুরীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, তদন্তে এসে এমন পরিস্থিতিতে পরব বুঝতে পারিনি। তদন্ত চলাকালে বাহিরে অতিরিক্ত শিক্ষকরা এসে হট্টগোলে সৃষ্টি করেছেন। তিনি বলেন, পরবর্তীতে সুষ্টভাবে তদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুলতানা সালেহা সুমি জানান, যে ঘটনাটি ঘটেছে সেটি কাম্য নয়। বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করা হয়েছে।

0Shares
এই ক্যাটাগরীর আরো খবর