আখলাছ আহমেদ প্রিয়, হবিগঞ্জ \
হবিগঞ্জ জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী মোঃ শাহীন আহমেদের মনোনয়নপত্র বৈধতার আপিলের শুনানী অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে হাইকোর্টের বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন ও বিচারপতি বশির উল্ল্যাহ সমন্বয়ে হাইকোর্ট বেঞ্চে এ শুনানী অনুষ্ঠিত হয়। শুনানিকালে উভয় পক্ষের আইজীবিদের দীর্ঘ সময় পাল্টা পাল্টি বক্তব্যে বিচারকগন বিভ্রান্ত হন। পরে তারা এ আপিলে আবেদনটি প্রধান বিচারপতির কাছে প্রেরণের জন্য আদেশ দেন। পরবর্তীতে প্রধান আপিল আবেদনটি বিচারপতি নতুন আদালতে প্রেরণ করবেন। সেখানে চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহিন আহমেদের মনোনয়নপত্র বৈধতার চ্যালেঞ্জের আবেদনের শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। এই তথ্য নিশ্চিত করেন চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহিন আহমেদের আইনজীবি এ্যাডভোকেট আমিনুল ইসলাম। আগামীকাল বৃহস্পতিবার এর শুনানী অনুষ্ঠিত হবে বলে তিনি আশাবাদী। শুনানীতে চেয়ারম্যান শাহীন আহমেদের পক্ষে অংশ নেন সুপ্রিম আইনজীবি সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট মো. মোমতাজ উদ্দিন ফকির। এর আগে রবিবার হাইকোর্ট থেকে হবিগঞ্জ চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের একটি মামলায় আগাম জামিন লাভ করেন শাহিন আহমেদ। সোমবার তিনি তার মনোনয়নপত্রের বৈধতার চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে আপিল আবেদন করেন। গত ১৮ সেপ্টেম্বর জেলা প্রশাসক ও জেলা পরিষদ নির্বাচনের দায়িত্বপ্রাপ্ত রিটার্নিং অফিসার ইশরাত জাহান মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই করা হয়। মনোনয়নপত্রে চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহিন আহমেদের স্বাক্ষর কি না সেই নিশ্চিত না হওয়ায় ও ঋণখেলাপির তথ্য গোপনের অভিযোগ এনে তার মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করা হয়। পরবতীতে চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহিন আহমেদ সিলেট বিভাগীয় কমিশনারে কাছে মনোনয়নপত্রের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে আপিল করেন। সেখানেও তার মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়।
হবিগঞ্জ জেলা পরিষদের নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহীন আহমেদ বলেন, ‘মামলার এফআইআর ও চার্জশীটে আসামী হিসেবে আমার নাম নেই। অথচ রহস্যজনক ভাবে এ মামলায় আমাকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। তিনি বলেন-জেলা পরিষদের নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী হওয়ায় আমার বিরুদ্ধে একের পর এক ষড়যন্ত্র হচ্ছে। ষড়যন্ত্র করে আমার প্রার্থীতাও বাতিল করা হয়েছে। অথচ যে অভিযোগে আমার মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে তার কোনটারই ভিত্তি নেই। তিনি বলেন-আমি নির্বাচনের মাঠে রয়েছি। আল্লাহ তাহালা সহায় থাকলে সকল ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে আইনী লড়াইয়ে জয়ী হয়ে আমি নির্বাচন করবোই। এজন্য হবিগঞ্জ জেলার সকল উপজেলা চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান, পৌরসভার মেয়র, কাউন্সিলর, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের দোয়া, আর্শিবাদ ও সার্বিক সহযোগিতা ও ভোট কামনা করছি’।
