হবিগঞ্জ প্রতিনিধি\ মাধবপুরে ছাগলের খামার করে নিঃস্ব হয়ে পড়েছেন দুলাল মিয়া নামে এক যুবক। ছাগল পালন করে লাভের আশা করে এখন লোকসানে পড়েছেন তিনি। উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মচারী যীশু দাস ভ্যাকসিন দিলে খামারে থাকা ৩৪টি ছাগলের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে গত ১৭ জুলাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তার কাছে দুলাল মিয়া লিখিত অভিযোগ দিলেও এখনো মিলেনি কোন সমাধান। যে কারণে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন ওই যুবক।
জানা যায়, উপজেলার চৌমুহনী ইউনিয়নের রাজনগর গ্রামের মোঃ ফজলুর রহমানের ছেলে মোঃ দুলাল মিয়া তার বাড়ির পাশে একটি ছাগলের খামার গড়ে তুলেন। খামারে ৩৪টি ছাগল যতœ সহকারে পালন করতে থাকেন তিনি। এমতাবস্থায় গত জুন মাসে ছাগল গুলোকে পিপিআর ভ্যাকসিন দেন উপজেলা প্রাণী সম্পদ অফিসের কর্মচারি যীশু দাস। এতে ছাগলদের প্রথম ডোজ ভ্যাকসিন দেয়া হলে ৩৪টি ছাগলেরই পাতলা পায়খানা শুরু হয়। পরে ৮টি ছাগল মারা যায়। বিষয়টি তিনি যীশু দাসকে অবগত করলে জীবিত ২৬টি ছাগল কে ২য় বার ভ্যাকসিন দেন। এরপর আরও ২২টি ছাগল মারা যায়। কিছু দিনের মধ্যে বাকি ছাগল গুলোও মারা যায়। বিষয়টি দুলাল মিয়া যীশু দাসকে জানানে তিনি রাগান্বিত হয়ে উঠেন। এতে তার কোন কিছু করার নেই বলে যা কিছু করতে উল্টো হুমকি প্রদান করেন। এতে দুলাল মিয়া মাধবপুর উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা ও উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন বলে দুলাল মিয়া সাংবাদিকদের জানিয়েছেন। তবে অভিযোগের পর এখন পর্যন্ত কোন সমাধান না করায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন দুলাল মিয়া।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্ত আব্দুস সাত্তার বেগ বলেন, ‘ধারনা করা হচ্ছে পিপিআর রোগে আক্রান্ত হয়ে ছাগল গুলো মারা গেছে। মারা যাওয়ার ১৫/২০ দিন পর জানানো হয়েছে। তখন সেম্পল গুলো সংগ্রহ করা যায়নি। ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে জানালে সেম্পল গুলো সংগ্রহ করে পরীক্ষা করে দেখা যেত কি কারনে ছাগল গুলো মারা গেছে। ক্ষতিগ্রস্থ খামারিদের প্রনোদনা আসলে দুলাল মিয়াকে দেওয়া হবে’।