আখলাছ আহমেদ প্রিয়, হবিগঞ্জ\
হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার ইনাতগঞ্জ ইউনিয়নে নিখোঁজের তিনদিন পর একটি খাল থেকে লিটন মিয়া (৪৮), নামে এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল শনিবার সকালে দীঘলবাক ইউনিয়নের কসবা বাজারের পোস্ট অফিসের পিছনে খাল থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত লিটন মিয়া ইনাতগঞ্জ ইউনিয়নের মধ্যসমত গ্রামের সিরাজ উল্যাহ’র পুত্র। এসময় ঘটনার খবর পেয়ে লাশ উদ্ধারে গিয়ে ইনাতগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক কাউছার আহমেদ এর সামনে একদল যুবক এই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নোমান হোসেনকে লাঞ্চিত করেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার থেকে লিটন মিয়ার কোন সন্ধান পাচ্ছিলেন না তার স্বজনরা। সম্ভাব্য সকল স্থানে খোঁজাখুঁজির পরও তাকে না পেয়ে পরদিন তার পরিবার নবীগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। শনিবার সকালে দীঘলবাক ইউনিয়নের কসবা বাজারের পোস্ট অফিসের পিছনে খালে একটি লাশ দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দিলে নবীগঞ্জ থানার একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করে।
কসবা গ্রামের মৃত শফিউদ্দিনের ছেলে মাখমুদ বখ্ত জানান- মাজহারুল এন্ড তনু অটো পার্স ও ইলেকট্রনিক্স এর সত্ত্বাধিকারী জুবেল আহমদের ছোটভাই আমাকে জানান যে, গত বৃহস্পতিবার রাতে বৃষ্টি আসলে লিটন ওই পার্সের দোকানে গিয়ে জিনিসপত্র নাড়াচাড়া করে এবং এক পর্যায়ে তাকে বের করে দেয়। কিন্তু ওই দোকানের সিসি ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজে লিটন মিয়ার সাথে ওই দোকানে হাতাহাতি করতে দেখা যায়।
সরেজমিনে গিয়ে শনিবার বিকাল ৫টা ১০ মিনিটে মাজহারুল এন্ড তনু অটো পার্স ও ইলেকট্রনিক্স দোকানটি বন্ধ পাওয়া যায় এবং তাদের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তাদের মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
স্থানীয়রা জানান- গত শুক্রবার রাতে দোকান বন্ধ করার পর ওই দোকানের কাউকে আর এলাকায় দেখা যায়নি।
এ ব্যাপারে নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ডালিম আহমেদ বলেন, নিহত লিটন মিয়ার পরিবার ১৬ সেপ্টেম্বর একটি হারানো ডায়েরি করেছিলেন। শনিবার সকালে লাশ পাওয়া যায়। লাশের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরির করার জন্য হবিগঞ্জ মর্গে পাঠানো হয়েছে।