ব্রাজিলীয়ান নারীকে বিয়ে করে যুক্তরাষ্ট্রে গেলেন যুবক

admin
  • আপডেট টাইম : সেপ্টেম্বর ১৭ ২০২২, ২০:২৪
  • 592 বার পঠিত
ব্রাজিলীয়ান নারীকে বিয়ে করে  যুক্তরাষ্ট্রে গেলেন যুবক

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি\ হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার হালিতলা গ্রামের আব্দুর রকিবের প্রেমের টানে বাংলাদেশে আসা ব্রাজিলের নারী সেওমা বিজেরাও নিজ দেশে ফিরেছেন। রকিবকে বিয়ের পর ২৯ দিন বাংলাদেশে থেকে ফিরে যান তিনি। এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমিয়েছেন রকিব। তবে তাদের মধ্যে এখন যোগাযোগ আছে কিনা তা নিশ্চিত করে জানাতে পারেনি রকিবের পরিবার।
রকিবের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, ফেসবুকে প্রেমের সম্পর্কের সূত্র ধরে ২০১৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পা রাখেন সেওমা বিজেরা। ওই দিন বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানান প্রেমিক রকিব। এরপর তারা চলে আসেন নবীগঞ্জের হালিতলা গ্রামের বাড়িতে। ৪৭ বছর বয়সী সেওমা তিন সন্তানের জননী এবং পেশায় শিক্ষিকা। তখন তার প্রেমিক আব্দুর রকিব (২৬) ছিলেন মৌলভীবাজার সরকারি কলেজের মাস্টার্স শেষবর্ষের শিক্ষার্থী। তিনি নবীগঞ্জ উপজেলার হালিতলা গ্রামের আসকান উদ্দিনের বড় ছেলে।
২০১৭ সালের ৩ জানুয়ারি নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে রকিবকে বিয়ে করেন সেওমা। এরপর ২৯ দিন হালিতলা গ্রামে থাকেন। ওই বছরের ২৮ জানুয়ারি ভিসা জটিলতার কারণে নিজ দেশে ফিরে যান। ব্রাজিলে গিয়ে রকিবকে নেওয়ার জন্য কাজ শুরু করেন। ২০১৮ সালে রকিবের জন্য ব্রাজিলের ভিসা পাঠান। এরপর ব্রাজিলে পাড়ি জমান রকিব। ব্রাজিলে গিয়ে সেওমার সঙ্গে এক বছর অবস্থান করেন। সেখানের সংস্কৃতি, পরিবেশ ও খাবারের সঙ্গে নিজেকে মানিয়ে নিতে না পারায় ২০১৯ সালে বাংলাদেশে ফেরেন রকিব। ২০২০ সালের শুরুতে আবারও সেওমার কাছে যান।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে রকিবের দুজন আত্মীয় জানিয়েছেন, ‘২০২০ সালের ডিসেম্বর মাসে ব্রাজিলে অবস্থানের সময় কয়েকজন বাংলাদেশির সঙ্গে পরিচয় হয় রকিবের। পরিচয়ের সূত্র ধরে ২০২১ সালে কয়েকজন বাংলাদেশির সঙ্গে অবৈধপথে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান রকিব। যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশকালে দালালদের খপ্পরে পড়ে পাঁচ-ছয় লাখ টাকা জরিমানা গুনতে হয়। ওই টাকা পাঠায় রকিবের পরিবার। এরপর থেকে যুক্তরাষ্ট্রে আছেন।
রকিবের প্রতিবেশী হালিতলা গ্রামের বাসিন্দা এক ব্যক্তি জানান ‘রকিবের পরিবারের কাছ থেকে জেনেছি, দ্বিতীয়বার ব্রাজিলে যাওয়ার পর সেখানে বাংলাদেশি কয়েকজনের সঙ্গে পরিচয় হয়। পরে তাদের সঙ্গে অবৈধপথে যুক্তরাষ্ট্রে যান। যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার সময় দালালদের খপ্পরে পড়ে পাঁচ-ছয় লাখ টাকা জরিমানা দিতে হয়। আত্মীয়-স্বজনরা মিলে ওই টাকা বাংলাদেশ থেকে পাঠান। বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে আছে রকিব।’
ছেলে এবং বিদেশি পুত্রবধূর সবশেষ অবস্থা জানতে চাইলে রকিবের বাবা আসকান উদ্দিন বলেন, ‘আমার ছেলে যেখানে আছে ভালো আছে, সুস্থ আছে। খুব দ্রæত সময়ের মধ্যে বাংলাদেশে আসবে। তবে ছেলে এখন কোথায় আছে তা আমি বলতে চাই না। পুত্রবধূর সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ নেই। ছেলের যোগাযোগ আছে কিনা তা আমি জানি না।’

0Shares
এই ক্যাটাগরীর আরো খবর