শকুন সচেতনতা দিবস আজ

admin
  • আপডেট টাইম : সেপ্টেম্বর ০২ ২০২২, ২০:৫৯
  • 596 বার পঠিত
শকুন সচেতনতা দিবস আজ

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি \ আন্তর্জাতিক শকুন সচেতনতা দিবস আজ। প্রকৃতির পরিচ্ছন্নতাকর্মী হিসেবে পরিচিত পাখিটিকে বাঁচাতে সচেতনতা গড়ে তোলার লক্ষ্যে প্রতিবছর সেপ্টেম্বরের প্রথম শনিবার দিবসটি পালন করা হয়। শকুন গবেষকদের মতে, মাত্র তিন দশকে দেশে ৯৯ দশমিক ৯ শতাংশ শকুন বিলুপ্ত হয়ে গেছে। যদিও হবিগঞ্জের রেমা কালেঙ্গা ও খুলনার সুন্দরবনে এখনও ২৬০টি শকুন ঠিকে আছে। আর এই পাখিটিকে বিলুপ্তির হাত থেকে রক্ষা করতে কাজ করছে বন বিভাগ এবং ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন অব নেচার (আইইউসিএন) নামের একটি সংগঠন।
শকুন, যাকে বলা হয় প্রকৃতির পরিচ্ছন্নতাকর্মী। বিভিন্নভাবে এই পাখিটি পরিবেশের উপকার করে থাকে। কিন্তু নানা কারণে শকুন এখন প্রায় বিলুপ্তির পথে। এরই মধ্যে এটিকে মহা বিপন্ন প্রাণী হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ১৯৯০ সালেও বাংলাদেশের আকাশে রাজত্ব করত কমপক্ষে ১০ লাখ শকুন। কিন্তু ১৯৯০ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত মাত্র তিন দশকে প্রায় ৯৯ দশমিক ৯ শতাংশ শকুন কমে গেছে। সবশেষ ২০২০ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ি দেশে বর্তমানে ২৬০টি শকুন ঠিকে আছে। এর মধ্যে হবিগঞ্জের রেমা বনাঞ্চলে ১২০টি, সুন্দরবনে ৬০টি এবং অনান্য এলাকায় বাকিগুলোর বসবাস।
মহাবিপন্ন তালিকায় থাকা এই পাখিটিকে বাঁচিয়ে রাখতে যৌথভাবে কাজ করছে বন বিভাগ এবং ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন অব নেচার (আইইউসিএন)। ২০১৪ সালে সরকারের সুফল প্রজেক্টের আওতায় শকুন রক্ষায় রেমা বনাঞ্চল ও সুন্দরবনে দুটি প্রকল্প চালু হয়। একই বছর সিলেট ও খুলনা অঞ্চলের ৪৭ হাজার বর্গ কিলোমিটার এলাকাকে শকুনের জন্য নিরাপদ এলাকা ঘোষণা করা হয়। যেখানে শকুনকে বাঁচিয়ে রাখতে এবং বৃদ্ধি করতে নেয়া হয় নানা প্রদক্ষেপ। আগামী ২০২৫ সাল পর্যন্ত প্রকল্পটি চলবে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন- গবাদি পশুর শরীরে ব্যাথানাশক ওষুধ কিটোপ্রোফেন ও ডাইক্লোফেনাকের ব্যবহার শকুন বিলুপ্ত হওয়ার প্রধান কারণ হিসেবে ধরা হচ্ছে। শুধু কিটোপ্রোফেন ও ডাইক্লোফেনাকের ব্যবহার নয়, পাশাপাশি উচুঁ গাছ কমে যাওয়া, খাদ্য সংকট ও প্রজনন সমস্যার কারণকে দায়ি করছেন শকুন গবেষকরা। যে কারণে কিটোপ্রোফেন ও ডাইক্লোফেনাকের বিক্রি বাংলাদেশে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তবে এখনও বিভিন্ন স্থানে এই ওষুধগুলো বিক্রি করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে প্রশাসনের কঠোর নজরধারী এবং সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে পারলেই শকুনকে বিলুপ্তির হাত থেকে বাঁচানো যাবে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।

0Shares
এই ক্যাটাগরীর আরো খবর