মজুরি বাড়ায় আনন্দ উল্লাসে মেতেছে চা-শ্রমিকরা \ মিষ্টি বিতরণ

admin
  • আপডেট টাইম : আগস্ট ২৮ ২০২২, ২১:১০
  • 600 বার পঠিত
মজুরি বাড়ায় আনন্দ উল্লাসে মেতেছে  চা-শ্রমিকরা \ মিষ্টি বিতরণ

আখলাছ আহমেদ প্রিয়, হবিগঞ্জ \

চা-শ্রমিকদের দৈনিক মজুরী ৫০ টাকা বাড়িয়ে ১৭০ টাকা নির্ধারণ করায় নেচে গেয়ে আনন্দ উল্লাসে মেতেছেন হবিগঞ্জের চা-শ্রমিকরা। রোববার সকাল থেকেই হবিগঞ্জের ২৪টি বাগানে এমন উৎসবের আমেজ দেখা গেছে। কোন কোন বাগানে বিতরণ করা হয়েছে মিষ্টিও। এছাড়াও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাদের মা বলে সম্মোধন করে নানা রকম শ্লোগান দিতে দেখা গেছে।
সাধারণ শ্রমিকরা জানান, প্রধানমন্ত্রী ১৭০ টাকা নির্ধারণ করে দেয়ায় খুশি তারা। তবে রোববার সাপ্তাহিক ছুটি হওয়ায় তারা কাজে ফেরেননি। সারা দিন তাই আনন্দ উল্লাস করে দিনটি উদযাপন করে। সোমবার ভোরবেলা থেকে রুটিন অনুযায়ী চা শ্রমিকরা কাজে যোগদান করবে।
সরেজমিনে চুনারুঘাট উপজেলায় বেশ কয়েকটি বাগান ঘুরে দেখা যায়, নাচ-গানের পাশাপাশি আনন্দ শোভাযাত্রা করেন শ্রমিকরা। ঢোলের তালে তালে শ্রমিকদের নিজস্ব সংস্কৃতির বিভিন্ন নাচ প্রর্শন করেন তারা। এ ছাড়া প্রতীকী নৌকা নিয়ে সরকারের বিভিন্ন ¯েøাগানও দেন তারা।
বাংলাদেশ চা শ্রমিক নারী সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সন্ধ্যা রানী ভৌমিক বলেন, আমাদের দাবি ছিল ৩০০ টাকা মজুরি, কিন্তু মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যেহেতু ১৭০ টাকা নির্ধারণ করে দিয়েছেন আমরা তাতেই খুশি। আমরা আনন্দ নিয়ে সোমবার থেকে কাজে ফিরে যাব। চান্দপুর চা-বাগানের পঞ্চায়েত কমিটির সভাপতি সাধন সাঁওতাল বলেন, আমরা প্রধানমন্ত্রীর সম্মানে রোববারের দিনটি কাটাব। সারা দিন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়নের প্রতীক নৌকা নিয়ে আনন্দ মিছিল করব। মিষ্টি বিতরণ করব। নাচ-গান করব আর প্রধানমন্ত্রীর জন্য প্রার্থনা করব। উনি যাতে সব সময় ভালো থাকেন।
বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নৃপেন পাল বলেন, রোববার সাপ্তাহিক ছুটির দিন থাকায় চা শ্রমিকরা কাজে যোগ দেয়নি। সোমবার সকাল থেকেই তারা রুটিন অনুযায়ী কাজে যোগ দিবে। এখন বাগানে বাগানে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। এদিকে, রোববার দুপুরে চান্দপুর চা-বাগানে যান চুনারুঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সিদ্ধার্থ ভৌমিক। এ সময় তিনি শ্রমিকদের মধ্যে মিষ্টি বিতরণ করেন। সিদ্ধার্থ ভৌমিক বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শ্রমিকদের মজুরি ৫০ টাকা বাড়িয়ে ১৭০ টাকা নির্ধারণ করায় শ্রমিকরা আনন্দ-উল্লাস করছেন শুনেই আমি আর অফিসে থাকতে পারলাম না। আমি শ্রমিকদের সঙ্গে দিনটি উদযাপন করতেই তাদের কাছাকাছি চলে যাই।

0Shares
এই ক্যাটাগরীর আরো খবর