শিক্ষিকা সুপ্তা রাণীকে হারিয়ে দিশেহারা পরিবার

admin
  • আপডেট টাইম : আগস্ট ১২ ২০২২, ২০:৪০
  • 611 বার পঠিত
শিক্ষিকা সুপ্তা রাণীকে হারিয়ে দিশেহারা পরিবার

আখলাছ আহমেদ প্রিয়, হবিগঞ্জ \

হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জে নিশাপট সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা সুপ্তা রানী দাশ (৩২)-এর মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। পরিবার, আত্মীয়-স্বজন ও শুভাকাঙ্খিদের বুকফাটা আর্তনাদে আকাশ যেন ভারী হয়ে উঠছে।
এদিকে, পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী
শিক্ষিকা সুপ্তা রাণীকে হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছে তার পরিবার। এখন পিতা-মাতাসহ ৪ জনের সংসার কিভাবে চলবে বুঝে উঠতে পারছে পরিবার। এ নিয়ে হতাশা ও টেনশনে পড়েছেন তারা।
স্থানীয়রা জানান, হবিগঞ্জ সদর উপজেলার নিজামপুর ইউনিয়নের মাহমুদপুর গ্রামের পবিত্র দাশের ২ মেয়ে ও ১ ছেলের মধ্যে শিক্ষিকা সুপ্তা রানী দাশ ছিল সবার বড়। যে কারণে অস্বচ্ছল পিতার উপার্জনের পুরো ভার পড়ে তার উপর। পরিবারে পিতা-মাতা ও তিন ভাই-বোনের মধ্যে জীবিকা অর্জনের একমাত্র অবলম্বন ছিল সে। প্রায় ১০ বছর আগে শায়েস্তাগঞ্জের নিশাপট সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষিকা হিসেবে যোগদান করে সুপ্তা রানী দাশ। এ চাকরী পাওয়ার সুবাধে পরিবারের ব্যয় বহন করে আসছিল সুপ্তা রানী। এতে পিতা-মাতা ও ভাই-বোন নিয়ে সুখের সংসার ছিল তাদের। কিন্তু সড়ক দূর্ঘটনায় তার মৃত্যুতে পুরো পরিবার এখন দিশেহারা। কিভাবে এখন তাদের সংসার চলবে এ নিয়ে টেনশনে পড়েছে পরিবার। গতকাল শুক্রবার বিকেলে সিলেট থেকে তার লাশ বাড়িতে পৌছলে কান্নার রুল পড়ে। মেয়ের মৃত্যুতে বার বার কান্নায় ভেঙ্গে পড়ছেন তার মা, তার মায়ের বুকফাটা আর্তনাদ থামানো যাচ্ছিল না কিছুতেই। মেয়ের শোকে পাগলপ্রায় তিনি। তাছাড়া শিক্ষিকা সুপ্তা রানী লাশ বাড়িতে আসার খবর পেয়ে তাকে এক নজর দেখতে ভীড় করেন গ্রামবাসী। এ সময় আত্মীয়-স্বজন, শুভাকাঙ্খি ও সহকর্মীরা কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। তাদের বুকফাটা আর্তনাদে আকাশ যেন ভারী হয়ে উঠছিল। পরে সন্ধ্যায় উপজেলার নিজামপুর ইউনিয়নের মাহমুদপুরে পারিবারিক শ্মশানে শিক্ষিকা সুপ্তা রানীর লাশ দাহ করা হয়।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার সকাল ৯ টায় শায়েস্তাগঞ্জের নিশাপট সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন সহকারী শিক্ষিকা সুপ্তা রানী দাশ। এ সময় তিনি বিদ্যালয় এলাকায় পৌছে রাস্তা পারাপার হওয়ার সময় দ্রæতগতিতে আসা একটি সিএনজি অটোরিক্সা তাকে ধাক্কা দেয়। এতে তিনি গুরুতর আহত হন। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হবিগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে আশংকাজনক অবস্থায় সিলেট ওসমানী মিডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। বিকেল চিকিৎসাধীন অবস্থায় সেখানে তার মৃত্যু হয়।

0Shares
এই ক্যাটাগরীর আরো খবর