হবিগঞ্জে মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে পিতার যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

admin
  • আপডেট টাইম : আগস্ট ১০ ২০২২, ২০:৫৭
  • 594 বার পঠিত
হবিগঞ্জে মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে পিতার যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

আখলাছ আহমেদ প্রিয়, হবিগঞ্জ \

হবিগঞ্জের নবীগঞ্জে নিজের মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে পিতা আব্দুস সালাম (৪৫) কে যাবজ্জীবন কারাদÐ দিয়েছেন আদালত। একই সাথে ৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ২ মাসের বিনাশ্রম কারাদÐ দেয়া হয়। গতকাল বুধবার দুপুরে হবিগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতের বিজ্ঞ বিচারক মোহাম্মদ হালিম উল্লাহ চৌধুরী এ রায় ঘোষণা করেন। রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন স্পেশাল পিপি মো. মোস্তফা মিয়া। আসামি পক্ষে ছিলেন এডভোকেট মোবারক হোসেন ফুল মিয়া।
ওই কোর্টের
পেশকার মোঃ ফজলু মিয়া জানান, নবীগঞ্জ উপজেলার দীঘলবাক ইউনিয়নের জিয়াপুর গ্রামে মৃত আমির উল্লার পুত্র আব্দুস সালামের সাথে বিয়ে হয় মামলার বাদি ধর্ষিতা কিশোরীর মা হাসিনা বেগমের। দাম্পত্য জীবনে তাদের দুইটি কন্যা সন্তান জন্মগ্রহণ করে। একজনের বয়স (১৩) ও অন্যজনের (৮)। তারা দুই বোনই স্থানীয় মাদ্রাসার ছাত্রী এবং আব্দুস সালামের ওরসজাত সন্তান।
২০২০ সালের ১৪ আগষ্ট স্বামী আব্দুস সালামের কাছে রেখে বাপের বাড়ি ওসমানীনগর উপজেলার গোয়ালাবাজারে চলে যান। ওই দিন রাত ১২টার দিকে লম্পট আব্দুস সালাম তার ১৩ বছরের নাবালিকা কন্যাকে ধর্ষণ করে এবং এ বিষয়ে কাউকে না বলার জন্য প্রাণে হত্যার হুমকি দেয়। এতে ওই কন্যা চুপ থাকে। একই বছরের ১৩ সেপ্টেম্বর একইভাবে তার কন্যাকে ধর্ষণ করে হুমকি দেয়। কয়েকদিন পর হাসিনা বেগম বাড়ি এলে বিষয়টি জানতে পারেন। পরে হাসিনা বেগম বিষয়টি নিয়ে প্রতিবাদ করলে তাকে ও তার মেয়েকে পিটিয়ে আহত করে আব্দুস সালাম। স্থানীয়দের সহযোগিতায় মা-মেয়েকে হবিগঞ্জ জেলা আধুনিক সদর হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়। ১৪ সেপ্টেম্বর নবীগঞ্জ থানায় আব্দুস সালামকে একমাত্র আসামি করে মামলা করলে ১৭ সেপ্টেম্বর মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই শাহজাহান মিয়া লম্পট আব্দুস সালামকে গ্রেফতার করে কারাগারে প্রেরণ করেন। এরপর থেকেই সালাম কারাগারে ছিলো। একাধিকবার তার আইনজীবি জামিনের আবেদন করলে আদালত জামিন না মঞ্জুর করেন। ইতোমধ্যে ১০ জন স্বাক্ষির স্বাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। রায় প্রদানকালে আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলো। পরে তাকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়।

0Shares
এই ক্যাটাগরীর আরো খবর