বিয়ানীবাজার প্রতিনিধিঃ
বিয়ানীবাজার সরকারি কলেজে পরীক্ষা শেষে বাড়ি ফেরার পথে কাভার্ড পিকআপ ভ্যানের ধাক্কায় নিহত মোটরসাইকেল আরোহী আসাদুজ্জামান মুন্নার জানাজা ও দাফন সম্পন্ন হয়েছে। মঙ্গলবার বিকালে বাড়ি ফেরার পথে সিলেট-বিয়ানীবাজার আঞ্চলিক মহাসড়কের আঙ্গারজুর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
বুধবার বেলা ১১ টায় শেওলা ইউনিয়নের ঢেউনগর বড়বাড়ি এলাকায় তার জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। এতে মুন্নার কলেজের সহপাঠীসহ জনপ্রতিনিধি, শিক্ষকসহ দলমত নির্বিশেষে এলাকার বিপুলসংখ্যক মানুষ অংশ নেন। জানাযার নামাজ শেষে তাঁর মরদেহ পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। তিনি একই এলাকার মধ্যপ্রাচ্য প্রবাসী শাহাব উদ্দিনের পুত্র।
এদিকে, ছাত্রলীগ কর্মী আসাদুজ্জামান মুন্নার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট নাসির উদ্দিন খান, বিয়ানীবাজার উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আতাউর রহমান খান, সাধারণ সম্পাদক দেওয়ান মাকসুদুল ইসলাম আউয়াল, বিয়ানীবাজার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কাশেম পল্লব, পৌর মেয়র জিএস ফারুকুল হক, সাবেক পৌর মেয়র আব্দুস শুকুর, শেওলা ইউপি চেয়ারম্যান মো. জহুর উদ্দিন।
পৃথক শোকবার্তায় নেতৃবৃন্দ মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন এবং শোক সন্তপ্ত পরিবার পরিজনের প্রতি সমবেদনা জানান।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার বিকেলে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত আসাদুজ্জামান মুন্না (২১) বিয়ানীবাজার সরকারি কলেজের ডিগ্রি ১ম বর্ষের ছাত্র ছিল। রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অভ্যন্তরিণ পরীক্ষা শেষে মোটরসাইকেল যোগে সে বাড়ি ফিরছিলো। তখন সিলেট-বিয়ানীবাজার সড়কের আঙ্গারজুর এলাকায় পৌঁছামাত্র বিপরীতগামী স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস এর ঔষধবাহী কাভার্ড পিকআপ’র সাথে কলেজ ছাত্রের মোটরসাইকেলের ধাক্কা লাগে। এতে চালকের আসনে থাকা মুন্না রাস্তায় ছিটকে পড়ে গিয়ে গুরুতর আহত হন। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে বিয়ানীবাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনার খবর পেয়ে ছাত্রলীগের নেতাকর্মী হাসপাতালে ভীড় করেন। তারা রাজনৈতিক সহকর্মী হারানোর বেদনায় কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন।
বিয়ানীবাজার থানার এসআই মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, দুর্ঘটনাকবলিত পিকআপ ও মোটরসাইকেল পুলিশ হেফাজতে রয়েছে। পলাতক গাড়ি চালককে আটকের চেষ্টা চলছে।