আখলাছ আহমেদ প্রিয় \
বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে জেলা জুড়ে তৎপর ভূমিকা পালন করছে প্রশাসন। রাত ৮ টার পর দোকান পাট, শপিংমল ও রেস্তোরাসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠান বন্ধ করতে প্রশাসনের এ্যাকশন শুরু হয়েছে। এ বিষয়ে জেলা প্রশাসনের নির্দেশে জেলার বিভিন্ন উপজেলায় অভিযান অব্যাহত রেখেছেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটগণ।
এদিকে,সরকারী নির্দেশ অমান্য করায় হবিগঞ্জ শহরের ম্যাংগো রেস্টুরেন্টকে ১ হাজার জরিমানা করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার রাত ১০ টায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মহিন খান ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান চালিয়ে এ জরিমানা করেন। এর আগে তিনি শহরের মুগল রেস্টুরেন্টসহ বিভিন্ন দোকান পাট বন্ধ ও ব্যবসায়ীদের সাবধান করে দেন। এ সময় ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনায় সদর
মডেল থানা পুলিশের একটি টিম সহযোগিতা করে।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মহিন খান জানান, বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে সরকারী নির্দেশনা পালনে হোটেল, রেস্তোরা, শপিংমলসহ সব ধরনের দোকান পাট রাত ৮ টার পর বন্ধ থাকবে। এই নির্দেশনা বাস্তবায়নে জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশে শহরে ভ্রাম্যমান আদালতের কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। মঙ্গলবার রাত ৮ টার পরে শহরের দোকান পাট বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। আজ (বুধবার) থেকে এসব প্রতিষ্ঠান খোলা রাখলে ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে তাৎক্ষনিক ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। পরবর্তী সরকারী নির্দেশনা না আসা পর্যন্ত এ এ্যাকশন চলবে বলে তিনি জানান।
উল্লেখ্য, গত সোমবার ডিজেলে বিদ্যুৎ উৎপাদন স্থগিত করে এলাকাভিত্তিক লোডশেডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রনালয়। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে উচ্চ পর্যায়ের এক বৈঠকে সারাদেশে প্রতিদিন এক ঘণ্টা করে লোডশেডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। প্রথম সপ্তাহে এক ঘণ্টা করে লোডশেডিং দিয়ে পরিস্থিতি দেখা হবে, এতে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া না গেলে দুই ঘণ্টা করে লোডশেডিং দেওয়ার চিন্তা করা হবে বলে বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে সারাদেশে রাত ৮টার পর দোকানপাট, শপিংমলসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠান বন্ধ করার নির্দেশ দেয়া হয়। সরকারী এ নিদের্শনা অমান্য করলে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয় এবং বাসা-বাড়িতে অপ্রয়োজনীয় এসি ও আলোকসজ্জা বন্ধ রাখার আহŸান জানানো হয়। এ সিদ্ধান্ত ঘোষনার পরপরই হবিগঞ্জ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিউবো)’র আওতাধীন হবিগঞ্জ শহর এলাকাগুলোতে লোডশেডিংয়ের সময় নির্ধারণ করে। ফলে গতকাল শহরে দিনে ও রাতে প্রতিটি এলাকায় ৪ থেকে ৫ বার করে লোডশেডিং দেখা দেয়। প্রতিটি এলাকায় ৪ থেকে ৫ ঘন্টা বিদ্যুৎ না থাকায় চরম দূর্ভোগে পড়েন সাধারণ মানুষ। রোদ্রময় তাপদাহ ও ভ্যাপসা গরম থাকায় অতিষ্ঠ হয়ে উঠে জনজীবন।