ইউরোপ পাড়ি দিতে গিয়ে লিবিয়ায় লাশ হলেন হবিগঞ্জের যুবক

admin
  • আপডেট টাইম : জুলাই ০১ ২০২২, ২১:১৩
  • 688 বার পঠিত
ইউরোপ পাড়ি দিতে গিয়ে লিবিয়ায়  লাশ হলেন হবিগঞ্জের যুবক

আখলাছ আহমেদ প্রিয়, হবিগঞ্জ \

স্বপ্নের দেশ ইউরোপ যেতে লিবিয়ায় পাড়ি জমান শহরতলীর বহুলার শহিদুল ইসলাম (৩০) নামে এক যুবক। পরিবারের সুখের আশায় স্বপ্ন দেখেন ইউরোপ যাবেন। কিন্তু সেই আশা পুরণ হল না তার। ইউরোপ যাওয়ার পূর্বেই লাশ হতে হল তাকে। গত সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টায় তার মৃত্যুর খবর পান পরিবারের লোকজন। ওই যুবক শহরতলীর বহুলার পশ্চিম হাটির ২৮ এর মুরুব্বী মোঃ শের আলীর ছেলে। এদিকে, শহিদুল ইসলামের আকষ্মিক মৃত্যু নিয়ে হতভম্ব পরিবারের

লোকজন। কিভাবে তার মৃত্যু হয়েছে জানেন না কেউ। মৃতদেহটি কোথায় আছে এখনো বলতে পারছেন না পরিবারের লোকজন। তাদের ধারনা শহিদুলকে হত্যা করে লাশ গুম করেছে দালাল চক্র।

পরিবার সূত্র জানায়, প্রায় ৫ মাস পূর্বে হবিগঞ্জ শহরতলীর বহুলা পশ্চিম হাটির শহিদুল ইসলাম বানিয়াচং উপজেলার শাহপুরের আলী আহম্মদের ছেলে শাহীন মিয়া ও একই এলাকার তোফাজ্জলের মাধ্যমে ইউরোপ যাওয়ার উদ্দেশ্যে লিবিয়া যান। সেখানে যাওয়ার পর তাকে ইউরোপে না পাঠিয়ে বিভিন্ন ভাবে অত্যাচার করে দালাল চক্র। এক পর্যায়ে ওই দালাল চক্র তার বড় ভাই মোঃ তাজুল ইসলামের কাছে ২০ লাখ টাকা দাবী করে। এক পর্যায়ে তাজুল ইসলাম ৫ বারে দালালদের ১৪ লাখ টাকা দেন। এরপরও থামেনি তাদের অত্যাচার। বাড়ি থেকে টাকা নিতে শহিদুলকে চাপ সৃষ্টি করা হয়। মৃত্যুর ৫দিন পূর্বে শহিদুলের ভাই তাজুল ইসলামের কাছে আবারও সাড়ে ৪ লাখ টাকা চায় দালাল চক্রটি। এ সময় তিনি টাকা না দিতে পেরে ঈদের পর দিবেন বলে সময় নেন। গত সোমবার শহিদুলের রুমে থাকা এক ব্যক্তি তার মৃত্যু হয়েছে বলে বাড়িতে খবর দেয়। তবে কিভাবে তার মৃত্যু হয়েছে এ কথা না বলেই ওই ব্যক্তি ফোন কেটে দেন। এতে হতভম্ব হয়ে পড়েন পরিবারের সদস্যরা। বর্তমানে শহিদুলের লাশ কোথায় আছে বলতে পারেননি পরিবারের লোকজন।

শহিদুলের ভাই তাজুল ইসলাম বলেন, ‘শহিদুল ইসলামের মৃত্যুর ৫ দিন পূর্বে তার কাছে সাড়ে ৪ লাখ টাকা চায় দালাল চক্র। তিনি টাকা না দিতে পারলে ঈদের পর দিবেন বলে তারিখ করেন। কিন্তু এর আগেই বাড়িতে শহিদুলের মৃত্যুর খবর আসে। তিনি জানান, টাকা না দেওয়ায় দালাল চক্র শহিদুলকে হত্যা করে লাশ গুম করে রেখেছে’।

এদিকে, তার মৃত্যুর খবরে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। স্ত্রী ও একমাত্র সন্তান বার বার কান্নায় ভেঙ্গে পড়ছিলেন। শহিদুলের এমন আকষ্মিক মৃত্যু মেনে নিতে পারছেন না পরিবারের পরিবারের লোকজন।

0Shares
এই ক্যাটাগরীর আরো খবর