চলতি মৌসুমে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে লিচুর এবার ভালো ফলন হয়েছে। মধু মাসের এ সময়টাতে তাই রসালো টসটসে লিচু পাওয়া যাচ্ছে সর্বত্র। সুমিষ্ট লিচুর আছে অনেক পুষ্টিগুণ। লিচুতে প্রচুর মিনারেল ও ভিটামিন ক্যালোরি, থাকায় ডায়েট চার্টে অনায়াসে রাখতে পারেন সুস্বাদু এই ফলটি।
খেতে সুস্বাদু পুষ্টিগুণে ষোলো আনা লিচুতে প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট, ক্যালরি পরিমাণে খুব অল্প থাকায় এবং ফ্যাট একেবারে না থাকায় এটি সবার জন্যে উপযুক্ত ও উপকারি একটি ফল। লিচুতে আছে ক্যানসার প্রতিরোধক্ষমতা। গবেষণায় দেখা গেছে লিচুতে আছে প্রচুর অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ও ফ্ল্যাভোনয়েড,যা ব্রেস্ট ক্যানসারসহ বিভিন্ন ক্যানসারের কোষ বিভাজনকে বাধা দেয়।
লিচুতে থাকা ভিটামিন এ এবং সি ছাড়াও ম্যাগনেসিয়াম, ম্যাংগানিজ,কপার,ফলেট রক্তের উপাদান তৈরিতে সহযোগিতা করে। পাশাপাশি অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ত্বকের উজ্জল্য বৃদ্ধি করে। তাই নাগরিক জীবনে পরিবেশদূষণের কারণে শরীরে বয়সের ছাপ পড়ছে দ্রুত। লিচু শরীরের তারুণ্য ধরে রাখতে সাহায্য করে। ত্বকও ভালো রাখে। ব্রণ হতে শুধু বাধাই দেয় না,সেই সঙ্গে ত্বকের কালো দাগ দূর করে। এ ছাড়া লিচুতে থাকা ভিটামিন সি, নিয়াসিন,থায়ামিন চুলের সৌন্দর্য বাড়ায়,চুলকে করে দিঘল কালো। ঝলমলে সুন্দর।
আগেই উল্লেখ করা হয়েছে যে,লিচুতে ক্যালরির পরিমাণ কম। এতে স্যাচুরেটেড ফ্যাট বা কোলেস্টেরল নেই, আঁশের পরিমাণ তুলনামূলক বেশি। এসব কারণে লিচু শরীরের ওজন কমাতে সহায়তা করে। এ ছাড়া রক্তস্বল্পতা দূর করার পাশাপাশি লিচুতে থাকা সাইটোকেমিকেল চোখের ছানি পড়া রোধ করতে ভূমিকা রাখে। উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ, মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ বা স্ট্রোক এবং হৃদ্রোগের ঝুঁকি কমানোসহ লিচু হজমশক্তি বাড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে ক্ষুধাবর্ধক হিসেবেও কাজ করে। আর যারা হাড়ের সমস্যায় ভুগছেন তারা ওষুধের বিকল্প হিসেবে খেতে পারেন এ ভরপুর মৌসুমী ফলটি।
যাদের ডায়াবেটিস আছে তাদের যদি সুগার নিয়ন্ত্রণে থাকে তাহলে ডায়েটে ৪০ গ্রাম লিচু বা বড় আকারের ৬টি লিচু খেতে পারেন। এতে প্রায় ২৫ গ্রাম ক্যালরি থাকবে। আর কোনো ডায়াবেটিস রোগী যদি এর থেকেও বেশি লিচু খেতে চান, তাহলে অবশ্যই রক্তে সুগারের মাত্রা পরীক্ষা করে নিতে হবে।
সামর্থ্য অনুযায়ী আপনিও আপনার শিশুকে পর্যাপ্ত পরিমাণ লিচু খান,তবে শিশুরা বেশিরভাগই লিচু খেতে পছন্দ করেন তবে মাত্রা অনুযায়ী শিশুদের লিচু খাওয়াতে হবে।
