নিউজ ডেস্ক: কোভিড মহামারী পরিস্থিতিতে এবার চার মাস পিছিয়ে জুনে এসএসসি এবং অগাস্টে এইচএসসি পরীক্ষা নেওয়ার পরিকল্পনা দিয়েছে সরকার; তিন বিষয়ের মোট নম্বরও কমিয়ে অর্ধেক করা হয়েছে।
রোববার ঢাকা শিক্ষা বোর্ড এক অফিস আদেশে ২০২২ সালের বিলম্বিত মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের পরীক্ষার সময় জানানোর পাশাপাশি এ দুই পরীক্ষার পাঠ্যসূচি পরিমার্জন ও পুনর্বিন্যাসের কথাও বলেছে।
এ শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান (রুটিন দায়িত্বে) অধ্যাপক তপন কুমার সরকার স্বাক্ষরিত ওই পত্রে বলা হয়, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড ২০২২ সালের এসএসসি এবং এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের জন্য বাংলা ২য় পত্র, ইংরেজি ১ম ও ২য় পত্র বিষয়ের পাঠ্যসূচি অধিকতর পরিমার্জন করে পুনর্বিন্যাস করেছে।
তাতে বাংলা ২য় পত্র, ইংরেজী ১ম ও ২য় পত্রের পাঠ্যসূচি পরিমার্জন করে এই বিষয়গুলোতে ১০০ নম্বরের পরিবর্তে ৫০ নম্বর নির্ধারণ করা হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি চলতি বছরও এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে নেওয়ার পরিকল্পনা সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন।
সাধারণত ফেব্রুয়ারিতে মাধ্যমিকের ও এপ্রিলে উচ্চ মাধ্যমিকের পরীক্ষা হয়ে আসলেও করোনাভাইরাস সূচি পাল্টে দিয়েছে।
করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে বিষয় কমিয়ে গত বছরের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা শুধু নৈবচনিক বিষয়ে অনুষ্ঠিত হয়; যেগুলোর নম্বর বিন্যাসও ছিল কম।
এর আগে বছরের মাঝামাঝি সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা নেওয়ার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছিল শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
পরে করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রনের বিস্তারের কারণে ‘পরিস্থিতি বুঝে’ সিদ্ধান্ত নেবে বলে ১০ জানুয়ারি এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছিল মন্ত্রণালয়।
দেশে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার পর ২০২০ সালের মার্চে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দিয়েছিল সরকার। পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় ৫৪৩ দিন পর গত ১২ সেপ্টেম্বর আবার শ্রেণিকক্ষে ফেরে শিক্ষার্থীরা।
তবে স্কুলে বার্ষিক পরীক্ষা না নিয়ে তাদের পরবর্তী শ্রেণিতে তুলে দেওয়া হয়েছে অ্যাসাইনমেন্ট ও পাঠ মূল্যায়নের মাধ্যমে।
১০ মাস অপেক্ষার পর গত জানুয়ারিতে জেএসসি ও এসএসসি পরীক্ষার ফল মূল্যায়ন করে সবাইকে ‘অটোপাস’ দেওয়া হয়।
দেড় বছর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় ২০২১ সালের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের পরীক্ষাও পিছিয়ে যায়।
নয় মাস পিছিয়ে নভেম্বরে এসএসসি ও আট মাস পিছিয়ে ডিসেম্বরে এইচএসসি পরীক্ষা নেওয়া হয়।
শিক্ষার্থীদের প্রস্তুতিতে ঘাটতি থাকায় সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে এসএসসি পরীক্ষা নেওয়া হয় তিন বিষয়ে, এইচএসসি পরীক্ষা হয় তিন বিষয়ের ছয়টি পত্রে।