বিয়ানীবাজারে নবণীতার আত্মহত্যার দিন অন্তঃসত্ত্বার খবর জানলেন স্বামী!

admin
  • আপডেট টাইম : নভেম্বর ১৪ ২০২১, ০৮:৪৪
  • 882 বার পঠিত
বিয়ানীবাজারে নবণীতার আত্মহত্যার দিন অন্তঃসত্ত্বার খবর জানলেন স্বামী!

স্টাফ রিপোর্টার:

একমাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সেবিকা নবণীতা দাশ (২৮)। বিষয়টি তার স্বামী সৌমেন দাশ যেদিন জানতে পারলেন সেদিনই তাকে ছেড়ে চিরতরে হারিয়ে গেলেন নবণীতা।

সম্প্রতি ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন তারা দুজন। কথা ছিল এক সাথে পাড়ি দিবেন বহুদূর পথ। তবে কথা রাখেননি নবণীতা। বিয়ের কিছুদিনের মথায় অভিমানে ‘আত্মহত্যা’ করলেন তিনি। শুক্রবার (১২ নভেম্বর) রাত ৮টার দিকে তাঁদের বাসার একটি কক্ষে নবনীতাকে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। পরে দেহটি উদ্ধার করে বিয়ানীবাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক নবণীতাকে মৃত ঘোষণা করেন।

নবনীতা দাশ (২৯) সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার সাউদের শ্রী গ্রামের সুব্রত কুমার দাশের মেয়ে। এ ঘটনায় বাবা সুব্রত কুমার দাশের দায়ের করা আত্মহত্যায় প্ররোচণার মামলায় নবনীতার স্বামী সৌমেন দাশকে (২৯) গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

গ্রেফতারের পর নবণীতার স্বামী সৌমেন দাশ পুলিশকে জানান, নবণীতা এক মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। আর এ সংবাদটি তিনি নবণীতার আত্মহত্যার দিনই জানতে পারেন। স্বামীর দাবি, নবনীতা আত্মহত্যা করেছেন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বিয়ের আগে থেকেই নবনীতা চাকরি সূত্রে বিয়ানীবাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসংলগ্ন নয়াগ্রামে বাসা ভাড়া নিয়ে থাকতেন। প্রায় চার মাস আগে প্রেমের সম্পর্ক থেকে একই গ্রামের সৌমেন দাশকে বিয়ে করেন তিনি। বিয়ের পর সৌমেনের পরিবার তাঁদের মেনে নিলেও নবনীতার পরিবার বিয়ে মেনে নেয়নি। বিয়ের পর থেকে তাঁরা নয়াগ্রামেই থাকতেন। নবনীতা নার্সের চাকরি করলেও স্বামী সৌমেন দাশ বেকার ছিলেন। তিনি কাজের সন্ধান করছিলেন। স্বামীর বেকারত্ব নিয়ে তাঁদের মধ্যে মনোমালিন্য ছিল।

শুক্রবার রাত আটটার দিকে তাঁদের ভাড়া বাসার একটি কক্ষে নবনীতাকে ঝুলন্ত অবস্থায় পান বলে জানান স্বামী সৌমেন দাশ। পরে তিনি নবনীতাকে উদ্ধার করে বিয়ানীবাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে বিয়ানীবাজার থানা-পুলিশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে নবনীতার লাশ উদ্ধার করে। পরে ময়নাতদন্তের জন্য রাতেই সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।

বিয়ানীবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হিল্লোল রায় বলেন, স্বামীর দাবি, নবনীতা আত্মহত্যা করেছেন। অপরদিকে, নবনীতার বাবা বাদী হয়ে বিয়ানীবাজার থানায় আত্মহত্যায় প্ররোচণার মামলা দায়ের করেছেন। সৌমেন দাশকে শুক্রবার রাতেই গ্রেপ্তার করা হয় এবং শনিবার (১৩ নভেম্বর) দুপুরে তাঁকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন
0Shares
এই ক্যাটাগরীর আরো খবর