নিউজ ডেস্কঃ
সিলেটে ছাত্রলীগ কর্মী আরিফুল ইসলাম রাহাত হত্যার প্রধান আসামি ওহিদুর রহমান সানির ৫ দিনের রিমান্ড চেয়েছে সিআইডি। রোববার রিমান্ড আবেদনের শুনানি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। গত বৃহস্পতিবার সানি সিলেটের আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। সিআইডি সিলেট জোনের বিশেষ পুলিশ সুপার সুজ্ঞান চাকমা সত্যতা স্বীকার করেছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, কলেজছাত্র রাহাতকে হত্যার সময় ঘাতকদের ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি ছিল সানির। ওই মোটরসাইকেলে গিয়েই ছুরিকাঘাতে খুন করা হয় রাহাতকে। তিনজনের নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা দায়েরের পর আসামিরা সিলেট ত্যাগ করেন। পরে পলাতক অবস্থায় কুষ্টিয়া থেকে গ্রেফতার করা হয় সাদিকে।
এরপর হত্যার মিশনে থাকা বাকি দুইজনকে গ্রেফতারে অভিযান শুরু করে সিআইডি। বৃহস্পতিবার সানি আত্মসমর্পণের পর এখন পলাতক তানভিরের সন্ধানে রয়েছে সিআইডি। তাদের বিশ্বাস সানির কাছে পলাতক তানভিরের তথ্য রয়েছে ।
রাহাত হত্যার আসামিদের মধ্যে সামসুদ্দোহা সাদি দক্ষিণ সুরমার মোগলাবাজার থানা এলাকার সিলাম পশ্চিমপাড়ার আব্দুস সালামের ছেলে। অপর দুই আসামিও একই এলাকার। তারা হলেন একই এলাকার জামাল মিয়ার ছেলে তানভির আহমদ ও দক্ষিণ সুরমার তেতলি ইউনিয়নের আহমদপুর গ্রামের মৃত গৌছ মিয়ার ছেলে সানি।
গত ২১ অক্টোবর সিলেটে দক্ষিণ সুরমা সরকারি কলেজ গেটের ভেতরে খুন হন উপজেলার পুরাতন তেতলি এলাকার সুরমান আলীর ছেলে ও দক্ষিণ সুরমা কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র আরিফুল ইসলাম রাহাত (১৮)। সেদিন দুপুরে বাড়ি থেকে বেরিয়ে চাচাতো ভাই আশরাফুল ইসলাম রাফিকে সঙ্গে নিয়ে মোটরসাইকেল চালিয়ে কলেজ ক্যাম্পাসে যান রাহাত।
সেখানে মোবাইল ফোনে বন্ধুদের না পেয়ে সোয়া ১২টার দিকে কোচিং সেন্টারে যাওয়ার জন্য রওনা দেন। কলেজ ক্যাম্পাস থেকে বেরিয়ে আসার সময় প্রধান ফটকের ভেতরে থাকা অবস্থায় আরেকটি মোটরসাইকেলে করে এসে অতর্কিতভাবে রাহাতকে ছুরিকাঘাত করেন ছাত্রলীগের কর্মী সামসুদ্দোহা সাদি ও তার সহযোগীরা। পরে রাহাতকে উদ্ধার করে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার চেষ্টাকালে পথেই তার মৃত্যু হয়।