জগন্নাথপুরে ভারী যানবাহন চলাচল নিষেধ: জানেনা ট্রাফিক পুলিশ

admin
  • আপডেট টাইম : সেপ্টেম্বর ১৪ ২০২১, ১৫:২০
  • 911 বার পঠিত
জগন্নাথপুরে ভারী যানবাহন চলাচল নিষেধ: জানেনা ট্রাফিক পুলিশ

 

জগন্নাথপুর প্রতিনিধি ::

জগন্নাথপুর উপজেলার শেষ সীমানায় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) কর্তৃক গত এপ্রিল মাসে সাইনবোর্ড টানিয়ে ১০ টনের অধিক ভারী যানবাহন চলাচল নিষিদ্ধ ঘোষণা করলেও, দীর্ঘ প্রায় ৫ মাসেও সেই খবর পৌছেনি জগন্নাথপুর উপজেলার ট্রাফিক পুলিশ ইন্সপেক্টর মোঃ মাহফুজ আলম এর কাছে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার জগন্নাথপুর টু বিশ্বনাথ মেইন রোডেই ১০ টনের অধিক ২৫ থেকে ৩৫ টন ওজনের ভারী যানবাহন কোনো প্রকার বাধা নিষেধ ছাড়াই হরদম চলছে। অন্যদিকে রাস্তার সুরক্ষার জন্য সরকারি এই নিষেধাজ্ঞা মেনে চলছেননা ট্রেডার্স ও মেইল মালিকরা। মেইন রোডের সাথে ছোট সংযোগ সড়কেই তারা তাদের নিজেদের মালামাল পরিবহন কাজে ব্যবহার করছেন ২০ থেকে ৩৫ টনের অধিক ভারী যানবাহন । সরেজমিনে গিয়ে আরো দেখা যায় জগন্নাথপুর পৌরসভার শিল্পনগরী খ্যাত হবিবনগর এলাকার মেইল মালিকরা ও উপজেলার অভ্যন্তরের
রড সিমেন্ট ব্যবসায়ীরা তাদের রড, সিমেন্ট, বালু, পাথর, ধান, চাল, গুরা, ইত্যাদি পরিবহন কাজে ২০ থেকে ৩০ টনের অধিক ভারী যানবাহন ব্যবহার করছেন, যা এই রোড ও তার উপরে নির্মিত ছোট ছোট ব্রিজের জন্য মারাত্মক ঝুকিপূর্ণ। অধিক ভারী যানবাহন চলাচলের কারণে রাস্তায় ধ্বস ও আশপাশের এলাকায় কম্পন সৃষ্টি হয়। যার ফলে রাস্তায় বিরাট বিরাট খানাখন্দের সৃষ্টি হয় বলে মনে করেন জগন্নাথপুর উপজেলার সুশীল সমাজ। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় একাধিক ব্যাক্তি জানান নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ১০ টনের অধিক ২০ টন ৩৫ টন ওজনের যে ট্রাকগুলো জগন্নাথপুরে ঢুকে তাদের অনেকের কাছ থেকে গাড়ি প্রতি ৩০০- থেকে ৫০০ টাকা আদায় করে ট্রাফিক পুলিশ। এব্যাপারে জগন্নাথপুর উপজেলা প্রকৌশলী গোলাম সারোয়ার বলেন, গত এপ্রিল মাসে আমরা ১০ টনের অধিক ভারী যানবাহন যাতে এই রাস্তা দিয়ে চলাচল নাকরে, সে ব্যাপারে সাইনবোর্ড টানিয়ে সবাইকে সতর্ক করেছি। জগন্নাথপুর পৌর স্বেচ্ছাসেবকলীগ সভাপতি ছালিক আহমেদ পীর বলেন ১০ টনের অধিক ভারী যানবাহন চলাচলে সরকারি নিষেধাজ্ঞা থাকলেও বাজারের অনেক ব্যবসায়ী সেটা মেনে চলছেননা, আমি আশা করবো ব্যবসায়ী সহ যারা নিজেদের মালামাল পরিবহন কাজে ১০ টনের অধিক ভারী যানবাহন ব্যবহার করছেন, রাস্তা ভালো রাখার স্বার্থে তারা সেগুলো পরিত্যাগ করে রাস্তার যাতে কোনো ক্ষতি না হয় সেই ধরনের যানবাহন ব্যবহার করবেন। জগন্নাথপুর বাজারের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সাবেক পৌর চেয়ারম্যান হারুনুর রশীদ হিরণ মিয়ার কনিষ্ঠ পুত্র জগন্নাথপুর টিভির উপদেষ্টা মোঃ জাহেদুর রশিদ ভুইয়া বলেন- জনগণের স্বার্থে উন্নয়নের স্বার্থে সরকার প্রতিবছর এই রাস্তার পেছনে কোটি কোটি টাকা ব্যয় করে। গুটিকয়েক স্বার্থলোভী ব্যবসায়ীর কারণে সেটা নষ্ট হোক তা মেনে নেয়া যায়না। এব্যাপারে জানতে চাইলে জগন্নাথপুর উপজেলা ট্রাফিক ইন্সপেক্টর মোঃ মাহফুজ আলম জানান- ১০ টনের অধিক ভারী যানবাহন চলাচল জগন্নাথপুরের রাস্তায় নিষেধ আছে বলে আমার জানা নাই! এব্যাপারে আমাদের কাছে কোনো আদেশ আসেনি।

0Shares
এই ক্যাটাগরীর আরো খবর