স্টাফ রিপোর্টার:
যুক্তরাষ্ট্রের নিউইর্য়ক পুলিশ বিভাগের (এনওয়াইপিডিতে) সার্জেন্ট পদে পদোন্নতি পেয়েছেন সিলেটের বিয়ানীবাজার থানার কৃতিসন্তান বিলালউদ্দীন।
গত ৩ সেপ্টেম্বর প্রায় তিন শতাধিক পদোন্নতিপ্রাপ্তের মধ্যে একমাত্র বাংলাদেশি হিসেবে সার্জেন্ট পদে পদোন্নতি পান তিনি। স্থানীয় সময় শুক্রবার সকালে নিউইয়র্কের কুইন্সে অবস্থিত পুলিশ একাডেমিতে জমকালো এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তার হাতে পদোন্নতির সনদ তুলে দেন বর্তমান পুলিশ কমিশনার ডারমট শিয়া।
বাংলাদেশি আমেরিকান পুলিশ অ্যাসোসিয়েশনের (বাপার) অন্যতম সদস্য এস. এম. হক জানান, সার্জেন্ট বিলাল উদ্দিন সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলার মুড়িয়া ইউনিয়নের ঘুঙ্গাদিয়া (নয়াগাও) গ্রামের মরহুম সিরাজ উদ্দিন ও শামসুন্নাহারের ৫ম পুত্র। ছাত্রজীবন থেকেই বিলাল উদ্দিন অত্যন্ত মেধাবী ছিলেন। ১৯৯৪ সালে অষ্টম শ্রেণিতে বিয়ানীবাজার উপজেলা থেকে ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি লাভ করেন। এছাড়া তিনি ১৯৯৭ সালে বিয়ানীবাজারের বৈরাগী বাজার উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ৬টি বিষয়ে লেটার মার্কসহ স্টার মার্ক পেয়ে এসএসসি এবং ১৯৯৯ সালে এমসি কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন । পরে তিনি ভারতের ব্যাঙ্গালুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কম্পিউটার এপ্লিকেশনে গ্রাজুয়েশন করে ২০০৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান।
এদিকে তিনি ২০১১ সালে নিউইর্য়ক পুলিশ বিভাগে যোগ দেয়ার আগে সিটি ইউনিভার্সিটি অব নিউইর্য়ক থেকে ফলিত গণিতের ওপর দ্বিতীয় স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন । সার্জেন্ট হিসেবে পদোন্নতি পাওয়ার আগে বিগত ৯ বছর যাবত তিনি ম্যানহাটনে ২০ প্রিসিন্টে দুর্নীতি দমন বিভাগে পুলিশ অফিসার হিসেবে কর্মরত ছিলেন ।
পদোন্নতি পাওয়ার পর সার্জেন্ট বিলাল উদ্দিন নিউইর্য়ক সিটির প্রাণকেন্দ্র ম্যানহাটনে সন্ত্রাস দমন বিভাগে কাজ করবেন বলে তিনি জানিয়েছেন। একমাত্র মেয়ে রাহা উদ্দিন ও একমাত্র ছেলে ওমরান উদ্দিন এবং সহধর্মিনী ফৌজিয়া বেগমকে নিয়ে ব্রংক্সে বসবাস করেন তিনি।
বিলাল উদ্দিন তার এই সাফল্যের জন্য বাবা-মা, সহধর্মিনী ও ভাই-বোনদের অবদানের পাশাপাশি সহকর্মী ডিটেকটিভ ইকবাল হুসেনের অনুপ্রেরণার কথা মনে প্রাণে স্মরণ করেন ।
উল্লেখ্য, বর্তমানে এনওয়াইপিডির সদস্য সংখ্যা প্রায় ৩৬ হাজার। নিয়মিত বাহিনীতে প্রায় চার শতাধিক বাংলাদেশি রয়েছেন । তাদের মধ্যে ৩ জন ক্যাপ্টেন , ১১ জন লেফট্যানেন্ট , ৩৫ জন সার্জেন্ট এবং ১২ জন ডিটেকটিভ রয়েছেন। এছাড়া নিউইর্য়ক সিটিতে পুলিশ বিভাগের অধীনে প্রায় সাত শতাধিক ট্রাফিক পুলিশ, স্কুল সেফটি এজেন্ট , পুলিশ কমিউনিকেশন টেকনেশিয়ান, স্কুল ক্রসিং গার্ডসহ বিভাগের অন্যান্য ইউনিটে মোট হাজারের বেশি বাংলাদেশি অত্যন্ত সুনাম ও দক্ষতার সাথে কাজ করে যাচ্ছেন।