বিয়ানীবাজারে কোরবানির পশুর চামড়া কেনা নিয়ে সংশয়ে ব্যবসায়ীরা

admin
  • আপডেট টাইম : জুলাই ১৯ ২০২১, ০৯:৫৫
  • 967 বার পঠিত
বিয়ানীবাজারে কোরবানির পশুর চামড়া কেনা নিয়ে সংশয়ে ব্যবসায়ীরা

বিয়ানীবাজার প্রতিনিধিঃ
সিলেট বিভাগের চামড়ার বড় ব্যবসা কেন্দ্র প্রবাসীবহুল বিয়ানীবাজার উপজেলা। কয়েক বছর আগেও এখানে শতাধিক লোক চামড়া ব্যবসায় জড়িত থাকলেও বর্তমানে পেশাদার চামড়া ব্যবসায়ীদের সংখ্যা মাত্র পাঁচ থেকে সাতজন। পুঁজির অভাব আর সিন্ডিকেটের বেড়াজালে পড়ে পশুর চামড়া সংগ্রহে আগ্রহী নন তারাও।

ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, চামড়া বিক্রির টাকা আটকে রাখেন টেনারি ব্যবসায়ীরা। এক বছরের টাকা আরেক বছর পরিশোধ করেন। এ অবস্থায় আসন্ন কোরবানির পশুর চামড়া কেনা নিয়ে সংশয়ে রয়েছেন বিয়ানীবাজারের অধিকাংশ পেশাদার ও মৌসুমী ব্যবসায়ী। তাছাড়া গত ৩-৪ বছর থেকে চামড়ার দাম না পাওয়ায় পূঁজি খুইয়ে অনেকেই এ ব্যবসায় আগ্রহ হারিয়েছেন।

উপজেলা প্রাণি সম্পদ অফিসের তথ্যমতে, বিয়ানীবাজার উপজেলায় চলতি বছর কোরবানীর ঈদে ১২ হাজার পশু কোরবানী হতে পারে।
স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানান, ২০২০ সালে কোরবানির চামড়ার প্রাথমিক প্রক্রিয়ার মজুরি ও লবণ দিয়ে যে টাকা ব্যয় হয় তাতে লোকসানের আশঙ্কায় কাঁচা চামড়া ক্রয় করতে আগ্রহী হননি তারা। একইসঙ্গে তাদের সংগ্রহ করা চামড়ার ন্যায্যদাম না পাওয়ায় এবার ওই ব্যবসায় তাদের মোটেও খেয়াল নেই। বিগত বছরের সেই অবস্থা এবার আরও প্রকট হবে বলে আশঙ্কা জানান চামড়া ব্যবসায়ী সালাউদ্দিন।
স্থানীয় চামড়া ব্যবসায়ী আব্দুল হক বলেন, ‘আমি প্রায় ১২ বছর বয়স থেকে চামড়া ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। একসময় চামড়া ব্যবসায় জৌলুস ছিল। কয়েক বছর চামড়া কেনার মূলধন ঢাকার ব্যবসায়ী ও ট্যানারির মালিকদের কাছে আটকা পড়ে আছে। ঢাকার ব্যবসায়ী ছাড়া চামড়া বিক্রি করা যায় না। ঢাকার ব্যবসায়ীরা বাকিতে চামড়া নিয়ে যান। বকেয়া পরিশোধে তারা গড়িমসি করেন। যার কারণে পুঁজি না থাকায় ঠিকভাবে চামড়া কিনতে পারি না। কয়েক বছর আগেও বিয়ানীবাজার উপজেলায় সবমিলিয়ে প্রায় শতাধিক চামড়া ব্যবসায়ী ছিল। বর্তমানে হাতে গুনা পাঁচ-সাতজন ব্যবসায়ী আছে। বিগত কয়েক বছর থেকে চামড়া ব্যবসায় ধস নামায় আমাদের গ্রামের প্রায় কোটি টাকা লোকসান হয়েছে।’

অপর চামড়া ব্যবসায়ী মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘২০১৪ সাল থেকে চামড়া ব্যবসায় ধারাবাহিক ধস নেমে আসায় প্রতি বছর লোকসানের শিকার হচ্ছি। এতে আমার কয়েক লাখ টাকা লোকসান হয়েছে। তাই এ বছর চামড়া কেনার তেমন আগ্রহ নেই।’

এক সময় চামড়া ব্যবসা করতেন মো. খলিল মিয়া। লোকসান দিয়ে সব পুঁজি ঢাকার হাজারিবাগের আড়তদার শেষ করে দিয়েছে। এখনও ব্যাংক লোন দেনা রয়েছে। চামড়া ব্যবসা ছেড়ে দিয়ে দিয়ে জীবিকার তাগিদে তিনি এখন কাঠ ব্যবসা করেন।

0Shares
এই ক্যাটাগরীর আরো খবর