বিয়ানীবাজারে দীর্ঘসময় লাইনে দাড়িঁয়েও মিলছেনা টিসিবির পণ্য

admin
  • আপডেট টাইম : জুলাই ১১ ২০২১, ১৫:২১
  • 988 বার পঠিত
বিয়ানীবাজারে দীর্ঘসময় লাইনে দাড়িঁয়েও মিলছেনা টিসিবির পণ্য

 

বিয়ানীবাজার প্রতিনিধিঃ
করোনায় দুর্ভোগে পড়া বিয়ানীবাজারের মধ্য ও নিম্নআয়ের মানুষ কিছুটা কম দামে পণ্য কিনতে ভিড় করছেন টিসিবির ট্রাকের সামনে। তবে দীর্ঘ সময় দাঁড়িয়ে থেকেও পণ্য না পাওয়ার অভিযোগ করছেন অনেকে।

লকডাউনের মধ্যেও টিসিবির পণ্য কিনতে দীর্ঘ লাইনে ঘণ্টার পর ঘণ্টা শত শত নারী ও পুরুষকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে। ভিড়ের কারণে টিসিবির পণ্য কেনার লাইনে মানা যাচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি।

টিসিবির ডিলাররা জানান, স্বাস্থ্যবিধি মেনে দূরত্ব বজায় রেখে পণ্য বিক্রির চেষ্টা করছেন তারা। কিন্তু অতিরিক্ত ক্রেতার চাপে লাইনে স্বাস্থ্যবিধি মানাতে হিমশিম খাচ্ছেন তারা।

ক্রেতাদের চাহিদার চেয়ে টিসিবির পণ্যের বরাদ্দ কম থাকায় কয়েক ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়েও অনেকে পণ্য কিনতে পারছেন না বলে অভিযোগ করেছেন অনেকে। ক্রেতারা ট্রাকের সংখ্যার পাশাপাশি পণ্যের পরিমাণ বাড়ানোর দাবি জানান।

মেসার্স শাহরিয়ার এন্টারপ্রাইজ নামক টিসিবির ডিলার জানান, ট্রাক সংখ্যা ও পণ্য বরাদ্দ আপাতত বাড়ানো সম্ভব হবে না। করোনা স্বাস্থ্যবিধি মেনে খোলা ট্রাকে পণ্য বিক্রির জন্য ডিলারদের নির্দেশনা দেওয়া আছে। কিন্তু বর্তমানে ক্রেতার পরিমাণ বেড়ে যাওয়ায় ডিলারদের পণ্য বিক্রিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।

আসন্ন ঈদ-উল-আজহা ও করোনা সংক্রমণের সময় ভোক্তাদের কম দামে পণ্য সরবরাহের জন্য গত ৫ জুলাই থেকে প্রত্যেক উপজেলায় দুটি করে পয়েন্টে ট্রাকে পণ্য বিক্রি চালু করে বাংলাদেশ ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশে (টিসিবি)। যা ঈদের কয়েক দিনের ছুটি বাদে আগামী ২৯ জুলাই পর্যন্ত চলবে। কিন্তু গত এক সপ্তাহে মাত্র দু’দিন পৃথকভাবে টিসিবির পণ্য বিক্রি করেছনি ডিলাররা। প্রতিদিন টিসিবির পণ্য ক্রয়ের জন্য দুপুর থেকে বিয়ানীবাজার পৌরশহরে ঘুরাঘুরি শুরু করেন ক্রেতা সাধারণ।

প্রতিটি ট্রাকে ১০০ টাকার মূল্যের এক হাজার লিটার তেল, ৫৫ টাকা মূল্যের সাত শ কেজি চিনি এবং ৫৫ টাকা মূল্যের তিন শ কেজি মসুরের ডাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু চাহিদার তুলনায় তা অত্যন্ত কম। তবে ক্রেতাদের অভিযোগ, ডিলাররা পণ্য এনে পাইকারী বিক্রি করে দেয়ায় স্থানীয়ভাবে এর সংকট সৃষ্টি হয়েছে।

0Shares
এই ক্যাটাগরীর আরো খবর