বিয়ানীবাজারে লকডাউনের কারনে কোরবানির পশুর বিক্রি নিয়ে চিন্তিত বিয়ানীবাজারের খামারিরা

admin
  • আপডেট টাইম : জুলাই ০৯ ২০২১, ১০:১০
  • 1020 বার পঠিত
বিয়ানীবাজারে লকডাউনের কারনে কোরবানির পশুর বিক্রি নিয়ে চিন্তিত বিয়ানীবাজারের খামারিরা

বিয়ানীবাজার প্রতিনিধিঃ
বিয়ানীবাজারে কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে পারিবারিকসহ ছোটবড় খামারে প্রায় ১০ হাজার গবাদিপশু বিক্রির জন্য পালন করা হয়েছে। কিন্তু করোনাভাইরাসের কারণে ঈদের আগে লকডাউন হওয়ায় এতে হতাশ হয়ে পড়েছেন খামারিরা। আসন্ন ঈদে পশুগুলো বিক্রি করতে পারবেন কি-না এ নিয়ে দুশ্চিন্তায় দিন কাটছে তাদের।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিস সূত্রে জানা গেছে, এবার কোরবানি ঈদকে সামনে রেখে উপজেলার ১৮৩টি হৃষ্ঠপুষ্টকরণ খামারসহ প্রায় ২০০ থেকে ২৫০ জন খামারি গবাদিপশু লালন-পালন করেছেন। বিক্রির তালিকায় রয়েছে ষাঁড়, বলদ, গাভী, বকনা, মহিষ, ছাগল, ভেড়াসহ অন্যান্য প্রাণী। এদের সংখ্যা ১০ সহস্রাধিকেরও বেশি। এ ছাড়া কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে তালিকার বাইরেও ছোট ছোট খামার ও বাড়িতে গবাদিপশু পালন করা হয়েছে।
খামারিদের দাবি, করোনার কারণে উপজেলার বৃহৎ পশুরহাট পিএইচজি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ, বারইগ্রাম বাজার, বৈরাগীবাজার, দুবাগ বাজার, দাসউরা আলিম মাদ্রাসা মাঠ, আছিরগঞ্জ বাজারে বসতে দেওয়া হয়নি। প্রশাসন থেকে বন্ধ রাখা হয়েছে। এ অবস্থায় তাদের পালিত গবাদিপশু হাটে তুলতে পারছেন না। ঈদে পশুগুলো বিক্রি করতে না পারলে ব্যয় বাড়তেই থাকবে। এতে চরম লোকসানের মুখে পড়বেন তারা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, স্থানীয়ভাবে পালিত এসব গবাদিপশু থেকে এলাকার চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বিক্রি করে থাকেন খামারিরা। লাভজনক হওয়ায় অনেক বেকার যুবক আত্মনিয়োগ করেছেন এ পেশায়। সফলতাও পেয়েছেন অনেকে। কিন্তু করোনার কারণে হাট বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বেশ দুশ্চিন্তায় ফেলেছে তাদের। বিয়ানীবাজারের সবচেয়ে নিয়মিত ও বড় পশুর হাট হচ্ছে  বারইগ্রাম বাজার। সপ্তাহে দুইদিন শত শত পশু এ হাটে বিক্রির জন্য নিয়ে আসেন খামারিরা। এ ছাড়া উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে বেশ কয়েকটি অস্থায়ী হাট বসে। কিন্তু মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে এর মধ্যে এসব হাট বন্ধ করে দিয়েছে প্রশাসন।
বারইগ্রাম বাজারের খামারি আফতার আলী জানান, তার খামারে দেশি প্রজাতির শতাধিক গরু রয়েছে। মূল্য হবে ৬০ হতে ৯০ হাজার টাকার ভেতরেই। হাট বন্ধ থাকায় গরুগুলো বাজারে উঠাতে পারচ্ছেন না। তবে চেষ্টা চালাচ্ছেন অন্যভাবে বিক্রি করতে পারেন কি-না। তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, এসব গরু লালন-পালন করতে অনেক খরচ হয়েছে। ন্যায্য দামে বিক্রি করতে না পারলে লোকসানে পড়বে তিনি।
একই কথা জানান আবুল কালাম নামে আরেক খামারি। তিনি জানান, ভারতীয় গরু দেশে প্রবেশ করছে না জেনে আমরা খামারিরা খুশি হয়েছিলাম। তবে চলমান লকডাউনের কারণে আমাদের খামারে আগে থেকে লালন-পালন করা গরুগুলো হাটে নেয়া যাচ্ছে না। এখন এসব পশু এবার কোরবানির ঈদে বিক্রি করতে পারবো কি না- এ নিয়ে শঙ্কা কাটছে না।

0Shares
এই ক্যাটাগরীর আরো খবর