লকডাউন : ৩৩৩ কল বিয়ানীবাজারে খাবার সহায়তা পেয়েছে ১৮৪ জন

admin
  • আপডেট টাইম : জুলাই ০৪ ২০২১, ১০:১১
  • 1080 বার পঠিত
লকডাউন : ৩৩৩ কল বিয়ানীবাজারে খাবার সহায়তা পেয়েছে ১৮৪ জন

বিয়ানীবাজার প্রতিনিধিঃ
সারাদেশে লকডাউনের ৪র্থ দিন চলছে। কঠোর এই সময়ে কস্টে আছে নিম্নআয়ের লোকজন। তারা খাবার সংকটে ইচ্ছে থাকলেও ঘরে থাকতে পারছেনা। তবে ৩৩৩-তে ফোন করে খাদ্য সহায়তা প্রাপ্তির সরকারি সুযোগকে কাজে লাগাচ্ছে বিয়ানীবাজারের অসহায় মানুষ।

কঠোর লকডাউনের ১ম দিন থেকে চলমান ৪র্থ দিন বিকাল ৩টা পর্যন্ত সরকারি সহায়তা নাম্বারে ফোন করে খাবার সহায়তা পেয়েছেন এখানকার ১৮৪ জন লোক। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিয়ানীবাজার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আশিক নূর। তিনি বলেন, সরকারি সহায়তার নাম্বারে ফোন করার পর তারা বিভিন্ন মাধ্যমে উপকারভোগীর পরিবারের অবস্থা যাচাই করেন। এরপর খাদ্য সহায়তা দিতে স্থানীয় প্রশাসনকে অবহিত করা হয়। বিয়ানীবাজার উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকেও উপকারভোগীর প্রকৃত অবস্থা জানতে চেস্টা করা হয়। এরপর অসহায় ওই ব্যক্তির হাতে খাদ্য সহায়তার প্যাকেট তুলে দেয়া হয়।

সূত্র জানায়, খাদ্য সহায়তার প্যাকেটে চাল, ডাল, তেল, লবণ, চিনি, সেমাই, সাবান, চিড়াসহ অন্যান্য নিত্যপণ্য থাকে।

বিয়ানীবাজার উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মুশফিকুর রহমান জানান, ৩৩৩-তে ফোন করার পর এটি সরাসরি ইউএনও মহোদয়ের মোবাইল ফোনে ফরোয়ার্ড করা হয়। সেমতে আমরা দ্রুত খাবারের প্যাকেট উপকারভোগীর কাছে পৌছে দেই। তিনি বলেন, আসলে স্থানীয়-অস্থানীয় যাচাই করার কোন সুযোগ নেই। সরকারি সহায়তা নাম্বারে ফোন করে নাম-ঠিকানা বলার পর আমরা এ বিষয়ে যাচাই করার সুযোগ কম থাকে।

এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক উপকারভোগী জানান, তার ঘরে শুক্রবার বিকেল থেকে চাল ছিলনা। তিনি অন্যের ঘর থেকে ধার করে চাল এনে সন্তানদের মুখে খাবার দিয়েছেন। এক প্রতিবেশীর মাধ্যমে সরকারি সহায়তার বিষয়টি জানার পর শনিবার সকালে ফোন করেন তিনি। এরপর বিকেলে বিয়ানীবাজার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে এসে খাদ্য সহায়তার প্যাকেট গ্রহণ করেন।

অপর আরেক উপকারভোগী বলেন, কঠোর লকডাউনে কাজ না থাকায় তার ঘরে অনেক নিত্যপণ্য সংকট তৈরী হয়। তিনি ইউপি মেম্বারকে অবহিত করলে ৩৩৩-তে ফোন করেন। সেখান থেকে তাকে বিয়ানীবাজার উপজেলা প্রশাসন থেকে খাবারের প্যাকেট সংগ্রহ করার কথা বলে দেয়া হয়। তিনি খাদ্য সহায়তার প্যাকেট পেয়েছেন।

প্রসঙ্গত, করোনা মহামারি গত বছরের মার্চে শুরু হলে প্রথমদিকে বিয়ানীবাজারের বিভিন্ন ব্যক্তি, প্রবাসী ও সামাজিক সংগঠনগুলো নানাভাবে অসহায় মানুষের ঘরে খাবার পৌছে দেয়। কিন্তু এটি দীর্ঘমেয়াদি চলমান থাকায় অনেক সচ্ছ্বল পরিবারও অসহায় প্রতিবেশীর খবর নিতে পারছেনা। এতে উপজেলার দরিদ্র-অসহায় মানুষের দূর্ভোগ বাড়ছে।

0Shares
এই ক্যাটাগরীর আরো খবর