বিয়ানীবাজারে করোনার ঝুঁকি নিয়ে জমে উঠেছে ঈদবাজার

admin
  • আপডেট টাইম : মে ০৯ ২০২১, ০৮:১৬
  • 1137 বার পঠিত
বিয়ানীবাজারে করোনার ঝুঁকি নিয়ে জমে উঠেছে ঈদবাজার

Exif_JPEG_420

বিয়ানীবাজার প্রতিনিধি ঃ
ঈদ মানেই খুশি। ঈদ মানে আনন্দ এই আনন্দ কে আরো বর্ণিল সাজে করতে  মুসলমানদের প্রধান এ ধর্মীয় উৎসব ঘিরে সবার মধ্যে থাকে নানা আয়োজনের পরিকল্পনা।  আর মুখরোচক খাবারের পাশাপাশি এদিন বিশেষ গুরুত্ব পায় নতুন পোশাক। নতুন পোশাকই যেন ঈদের পূর্ণতা। কঠোর লকডাউনের মধ্যে ঈদ উপলক্ষে খুলে দেওয়া হয়েছে মার্কেট ও শপিংমল। সামাজিক দূরত্ব মানার বিষয়টি অধিকাংশ লোকজন আমলেই নিচ্ছে না। স্বাভাবিকভাবে ঈদের কেনাকাটায় ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন বিয়ানীবাজারে লোকজন। বলতে গেলে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি নিয়েই শপিংমলগুলোতে ঈদের কেনাকাটায় ভিড় করছেন ক্রেতারা। শপিংমলগুলোতে সুরক্ষা ব্যবস্থার যেমন অভাব, তেমনি অনেকেই মানছেন না স্বাস্থ্যবিধি। এ ছাড়া কোনো দোকানেই চোখে পড়েনি হ্যান্ড স্যানিটাইজারের ব্যবহার। আবার স্বাস্থ্যবিধি মানতে উদাসীনতা রয়েছে শপিংয়ে আসা ক্রেতাদের মধ্যেও। ঝুঁকি মাথায় নিয়ে শিশুদের নিয়েও আসছেন অনেকে। কঠোর লকডাউনেও সকাল থেকেই উপজেলার বিপণিবিতানগুলোতে দেখা গেছে ক্রেতার ভিড়। বিয়ানীবাজার পৌরশহরের বিভিন্ন শপিংমহল ঘুরে ও বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়,মার্কেটের , তাদের ব্যবসা জমে উঠতে শুরু করেছে। গেল বছর ব্যবসা ভালো না হওয়ায় এবার তারা আশাবাদী। গত কয়েক দিনে বিক্রি তেমন ভালো ছিল না। তবে ঈদ যতো এগিয়ে আসছে, জমে উঠছে ঈদের বাজার।
১৫ রমজান থেকে শুরু করে বিভিন্ন পোশাকের দোকাম   ক্রেতাদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠেছে ফুটপাত থেকে শুরু করে বড় বড় শপিংমলগুলো। গত ১০ দিনের চেয়ে এদিন বিক্রি অনেকে বেশি।

 


এবারের ঈদের বাজারে তরুণীদের জন্য রয়েছে- ফ্রক, জিপসি, লেহেঙ্গা, থ্রিপিস, সিনথেটিক ফ্রক। বিয়ানীবাজার পৌরশহরের সাত্তার সুপার মার্কেট, জামান প্লাজায় এসব কাপড় বিক্রি হচ্ছে ৭০০ টাকা থেকে ৫ হাজার টাকায়।

পাশাপাশি ঈদে তরুণীদের জন্য বিশেষ আকর্ষণ হিসেবে রয়েছে, বজরঙ্গি ভাইজান, বাজিরাও মাস্তানি, সারারা প্রভৃতি ভারতীয় পোশাক। প্রতিটি দোকানে এগুলি বিক্রি হচ্ছে  হচ্ছে ৭ হাজার টাকা থেকে ৩৫ হাজার টাকায়।
জামানপ্লাজায় ঈদের নতুন পোশাক কিনতে আসা সোহানা ইসলাম বলেন, করোনার ঝুঁকি থাকলেও কিছু করার নেই। ঈদে সন্তানকে নতুন পোশাক না দিতে পারলে ভালো লাগবে না, তাই কেনাকাটা করতে আসা বিক্রেতারা বলছেন, এবারের ঈদে দেশি পোশাকের চেয়ে বিদেশি পোশাকের প্রতি ক্রেতাদের ঝোঁক বেশি। ঈদের আগের দিনগুলোতে ব্যবসা আরো জমে উঠবে বলে আশাবাদী বিক্রেতারা।

ক্রেতাদের কয়েকজন জানান, মার্কেটজুড়ে দেশি-বিদেশি নানান ডিজাইনের পোশাক থাকায় পছন্দ করে কেনা যাচ্ছে। এরমধ্যে বিদেশি পোশাকের প্রাধান্য বেশি। তবে অনেকে আছেন যারা, ঈদের জন্য দেশি বুটিকস, সুতি কাপড়কে বেছে নিচ্ছেন। আবার অনেকে মানসম্মত পোশাক পাচ্ছেন না বলেও অভিযোগ করেন।
বিশাল ব্রান্ড এর স্বত্তাধীকারী নাজিম উদ্দিন এর সাথে আলাপ কালে এই প্রতিবেদক  কে বলেন লকডাউন উঠে গেলে ব্যবসা আরও ভালো হবে। গেল কয়েক মাসে দোকানে নতুন কিছু কালেকশন আনা হয়েছে। তেমন বিক্রি হয়নি। কয়েকদিন ধরে বিক্রি ভালো হচ্ছে। জামান প্লাজার এক বিক্রেতা এই প্রতিবেদককে
আরো জানান,করোনা ও লকডাউন এর কারনে গত কয়েক দিনে বিক্রি ভালো না হওয়া দুশ্চিন্তায় ছিলাম আমরা ।ব্যবসায়িরা  ঈদ ঘনিয়ে আসতে না আসতে  ব্যবসা জমে উঠেছে আমরা আশাবাদি আগামি দিনগুলুতে আরো জমে উটবে ব্যবসা

0Shares
এই ক্যাটাগরীর আরো খবর