রহস্যেঘেরা আরবদের পাখি শিকার নিয়ে ইতিপূর্বে সোনা গিয়েছে অনেক কথা। দীর্ঘ চার দশকেরও বেশি সময় ধরে গোপনীয়তার সাথে তারা এই পাখি শিকার করে আসছেন চলমান এই মহামারীর মধ্যেও তারা তাদের সেই কর্মকাণ্ড অব্যাহত রেখেছেন তবে এই বিষয়টি নিয়ে তেমন কোনো কিছু প্রকাশ পায়নি। প্রতি বছর শীতের সময়ে পাকিস্তানের একপর্যায়ে পাখির জন্য পাগল হয়ে যায় আরব পরিবারের সদস্যরা ছুটে আসেন তারা পাকিস্তানের বেলুচিস্তানে কোটি কোটি টাকা খরচ করে তারা তাদের এই কর্মকান্ড করতে পাকিস্তান আসেন পাকিস্তানের এক পরিযায়ী পাখির জন্য পাগল আরব রাজপরিবারের সদস্যরা। ’হুবারা বাস্টার্ড’ নামের ওই পাখি শিকারে প্রতি জানুয়ারিতে পাকিস্তানের বেলুচিস্তানে ছুটে যান বাদশাহ-যুবরাজরা। তোয়াক্কা করেন না নিরাপত্তা ঝুঁকি বা কোটি কোটি টাকা খরচের। করোনা পরিস্থিতিতেও থেমে নেই গোপন এ শিকার অভিযান। প্রতি বছর শীতের সময়ে ’হুবারা বাস্টার্ড’ পাখি শিকারে বেলুচিস্তানে জনমানবহীন মরুভূমি এলাকায় দেখা মেলে আরব শেখদের। বিলাসবহুল এসইউভি গাড়ির বহর নিয়ে মরুর বুকে একসাথে দাপিয়ে বেড়ায় তারা। যাত্রীদের একমাত্র লক্ষ্য থাকে ’হুবারা বাস্টার্ড’ অতিথি পাখি শিকার করা।
ধনী আবরদের কাছে পাখি শিকার অনেকটা নেশার মতো। শিকারের জন্য বাজ পাখির বিশাল বহর আছে অনেকের। কিন্তু শত মাইল দূরের দেশ পাকিস্তানে কেনো? এই প্রশ্নের উত্তরও এই পরিযায়ী পাখি। মূল আবাস মঙ্গোলিয়া ও তার প্রতিবেশী অন্যান্য দেশ। কিন্তু প্রতি শীতে পাকিস্তানে পাড়ি জমায় ’হুবারা বাস্টার্ড’ নামের এই অতিথি পাখি। থাকে ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। আরব শেখদের বিশ্বাস এর মাংস আয়ু ও যৌনশক্তি বৃদ্ধি করে। তাই যত ঝুঁকি আর খরচই হোক পাখিটি শিকারে মরিয়া থাকে আরব ধনীরা। এই শিকারে আগ্রহীদের তালিকায় সবার উপরে সৌদি, কাতার এবং আরব আমিরাতের রাজপরিবারের সদস্যরা। বিলুপ্ত প্রায় বলে পাকিস্তানে ’হুবারা বাস্টার্ড’ শিকার কঠোরভাবে নিষিদ্ধ।
কিন্তু আরব শেখদের জন্য রাখা হয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা। প্রতিবছর বিশেষ বিবেচনায় মধ্যপ্রাচ্যের রাজ পরিবার থেকে ২৫ থেকে ৩৫ জনকে দেওয়া হয় শিকারের লাইসেন্স। প্রতিটি লাইসেন্স বাবদ পাকিস্তান সরকার পায় এক লাখ ডলার করে।