করোনা-রমজানে অস্থির বিয়ানীবাজার, ২ খুন

admin
  • আপডেট টাইম : মে ০৯ ২০২০, ১৭:১২
  • 1132 বার পঠিত
করোনা-রমজানে অস্থির বিয়ানীবাজার, ২ খুন

স্টাফ রিপোর্টার:
করোনা-রমজানে উত্তপ্ত হয়ে ওঠেছে বিয়ানীবাজারের সামাজিকতা। হঠাৎ করে উপজেলাব্যাপী অস্থিরতা সৃষ্টি হওয়ার কারণ অনুসন্ধান করছে আইনশৃংখলা বাহিনী। পুলিশও তৎপর হয়ে ওঠেছে। অথচ করোনার শুরু থেকে বেশ মানবিক ছিল বিয়ানীবাজার। একে-অপরকে সহযোগীতা করেছে প্রাণখোলে।

গত ৫দিনের ব্যবধানে বিয়ানীবাজারে পৃথক দু’টি হত্যকান্ডের ঘটনা ঘটে। দু’টি হত্যাকান্ডই ভ‚মি বিরোধের জের ধরে। তবে অপরাধ বিশেষজ্ঞরা বলেন, এতে আতঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই। কারণ হত্যাকান্ড দু’টি পূর্ব পরিকল্পনার অংশ নয়। রম্য লেখক ফুজেল আহমদ বলেন, বিয়ানীবাজারে ভ‚মির মূল্য চড়া হওয়ায় এখানে ভ‚মি নিয়ে বিরোধ বেশী। এ নিয়ে প্রায়ই সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষকালে উত্তেজিত হয়ে একপক্ষ অন্যপক্ষের উপর হামলে পড়ে। এতে হতাহতের ঘটনা ঘটে। সুজন সভাপতি এডভোকেট মো: আমান উদ্দিন জানান, এসব ঘটনায় আইনশৃংখলার অবনতি বলা যায়না। কারণ হত্যাকান্ডগুলো পরিকল্পনার অংশ নয়। তবে তিনি পুলিশকে সামাজিক অস্থিরতা দমন এবং ভ‚মি বিরোধ মেটাতে আরো কঠোর হওয়ার আহবান জানান।

সর্বশেষ গত বুধবার রাতে বিয়ানীবাজার উপজেলার মাথিউরায় আব্দুর রউফ (৫৫) হত্যকান্ডের ঘটনা ঘটে। এর আগে গত শুক্রবার লামা নিদনপুরে আব্দুল কাইয়ুম (১৮) নামের আরেক তরুণ খুন হয়।

জানা যায়, উপজেলার মাথিউরা ইউনিয়নের নালবহর গ্রামে তুচ্ছ ঘটনায় প্রতিবেশী দু’পরিবারের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। টিনের চালায় বৃষ্টির পানি পড়ার ঘটনা নিয়ে এ সংঘর্ষ বাঁধে। এসময় উভয়পক্ষে ১০-১২জন আহত হয়েছেন। বুধবার (৬ মে) বিকাল সাড়ে ৫টায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। নিহত আব্দুর রউফ এর ঘরে প্রতিবেশী কয়েছ আহমদ গংদের চাল থেকে বৃষ্টির পানি পড়তো। এ নিয়ে দীর্ঘদিন থেকে রউফ আপত্তি দিলেও কয়েছ গংরা আমলে নেননি। বিষয়টি প্রতিবেশীদের অবহিত করার পরও কোন প্রতিকার পাননি নিহত রউফ। এ নিয়ে বুধবার বিকালে পুনরায় আপত্তি দিলে কয়েছদের সাথে বাগবিতণ্ডা ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এক পর্যায়ে দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পরে।

এদিকে গত শুক্রবার মোল­াপুর ইউনিয়নের লামা নিদনপুরে জমি ক্রয়-বিক্রয়ের টাকা লেনদেনের জের ধরে আব্দুল কাইয়ুমের পরিবারের সাথে তার আপন চাচা ফরমান আলীর পরিবারের মধ্যে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। এক পর্যায়ে চাচাতো ভাই স্বপন আহমদের হাতে থাকা জিআই পাইপের আঘাতে আব্দুল কাইয়ুম আহত হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। এ ঘটনায় কাইয়ুমের আপন ভাই তাজ উদ্দিন ও নাজিম উদ্দিন আহত হন। পরে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে বিয়ানীবাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রেরণ করেন। তবে আহত আব্দুল কাইয়ুমের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে সিলেট এমএজি ওসমানী হাসপাতালে প্রেরণ করা হয় এবং পরদিন (শুক্রবার) ভোরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে মারা যায়।

নিহত তরুণ আব্দুল কাইয়ুম (১৮) মোল­াপুর ইউনিয়নের পশ্চিম নিদনপুর এলাকার মৃত সবুল আলীর ছোট ছেলে। সে মোল­াপুর ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থী।

বিয়ানীবাজার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) অবণী শংকর কর বলেন, কাউকে ছাড় দেয়া হবেনা। আমরা সবক’টি ঘটনা গুরুত্ব দিয়ে দেখছি।

0Shares
এই ক্যাটাগরীর আরো খবর