ইতালী প্রবাসী বাংলাদেশী কমিউনিটির দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।সচেতন হোন আতংকিত নয় -অলি উদ্দিন শামিম

admin
  • আপডেট টাইম : এপ্রিল ০৪ ২০২০, ১০:৩২
  • 1261 বার পঠিত
ইতালী প্রবাসী বাংলাদেশী কমিউনিটির দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।সচেতন হোন আতংকিত নয় -অলি উদ্দিন শামিম

জালালাবাদ এসোসিয়েশন ইতালী এর সভাপতি অলি উদ্দিনশামীম এক প্রেস বার্তায় ইতালীতে বসবাসরত সকল প্রবাসীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন শুক্রবার করোনা ভাইরাসের কারণে মসজিদে গিয়ে জামাতে সাথে জুম্মার নামাজ আদায় করতে পারি নাই মনে অনেক কষ্ট নিয়ে বাসায় জোহরের নামাজের পর একটু মানবিক কারণে বাসার বাইরে যেতে হলো এক যায়গা থেকে অন্য যায়গায় মোটরসাইকেল,গাড়ি,কোথায় ও আবার অনেক দুরে তাই মেট্রো (C)লাইনে এখন আসি আসল প্রসঙ্গ নিয়ে আমি যখন মেট্রো স্টেশন Roberto Malatesta স্টপেজে উপরে উঠি একজন বাংলাদেশী ভদ্রলোক দৌড়ে আমার কাছে আসে জিজ্ঞেস করে ভাই আপনি কি বাংলাদেশী? আমি তখন উনার সাথে বাংলায় কথা বলি জি ভাই কি সমস্যা বলেন ।তখন ঐ ভদ্রলোক কান্না জড়িত কন্ঠে আমাকে বলে ভাই আমি অসুস্থ এজন্য আমাকে বাসা থেকে বের করে দিয়েছে বাড়িওয়ালা সবাই বলছে আমি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত তাই কোন লোক আমার সাথে কথা বলছে না কাছে আসছে না এমনকি কেউই আমার কথা শুনতে চায় না এমতাবস্থায় আমি কি করবো কিছুই বুঝতে পারছি না । সবাই বলছে আমি যদি হাসপাতালে যাই তাহলে আমাকে ইনজেকশন দিয়ে মেরে ফেলবে আপনার পায়ে ধরি আমাকে একটু সাহায্য করুন । তখন আমি লোকটিকে জড়িয়ে ধরে বলি আপনি কোন চিন্তা করবেন না আমি সব কিছু দেখতেছি ইনশাল্লাহ্ আপনার কিছু হবে না । সাথে সাথে অ্যাম্বুলেন্স কল করি পুলিশ আসে সাথে ডাক্তার ও অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে তাত্ক্ষণিক চেক আপ করে ডাক্তার বলে উনার করোনা ভাইরাসের কোন সিনটম পাওয়া যায় নি সুতরাং উনি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত নয় অন্যান্য রোগে ভুগছিলেন ডায়াবেটিস,আলছার ইত্যাদি এমতাবস্থায় উনাকে হাসপাতালে ভর্তি করার কোন প্রয়োজন নেই তার চাইতে উনাকে তাড়াতাড়ি পারিবারিক ডাক্তারের কাছে নিয়ে যান । তখন আমার নিজের পারিবারিক ডাক্তারের কাছে গিয়ে অনুরোধ করি দ্রুত লোকটাকে একটু মানবিক কারণে পরীক্ষা করার জন্য ডাক্তার তখন সাথে সাথে পরীক্ষা নিরীক্ষা করে ২টা ঔষধ লিখে দেন এবং বলেন আপাতত ১০দিন এই ঔষধ খাওয়ার জন্য তাতেই উনি সুস্থ হয়ে যাবেন আর যদি ১০ দিন পর অসুস্থতা অনুভব করেন তাহলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পরামর্শ দেন । আমি লোকটি কে নিয়ে ফার্মাসিতে গিয়ে ঔষধ গুলি কিনে দিয়ে খাওয়ার নিয়ম বুঝিয়ে দেই এবং উনার জন্য কিছু ফলফ্রুট কিনে দিয়ে বলি আপনি বাসায় ফিরে যান বিশ্রাম নিন নিয়মিত ঔষধ খাবেন সব কিছু ঠিকঠাক হয়ে যাবে । তখন একদিকে লোকটির মুখে হাসি অন্য দিকে চিন্তা কোথায় যাবে বাসার লোকজন সবাই বলে উনার করোনা ভাইরাস কেউ কাছে আসে না কথা বলে না বাসায় যেতে নিষেধ করে । তখন আমি ফোন করে বাসার লোকের সাথে কথা বলি ধমকের সুরে যে উনার শরীলে কোন ধরনের ভাইরাসের সংক্রমণ পাওয়া যায় নি সুতরাং আপনারা যদি উনাকে বাসায় ঢুকতে না দেন তাহলে আমি বাসায় পুলিশ পাঠাতে বাধ্য হবো ।তখন সবাই বলে পুলিশ পাঠাতে হবে না উনি বাসায় চলে আসুক কোন সমস্যা নাই ।এজন্য আমি বাংলাদেশ কমিউনিটির সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করবো যাতে অযথা কেউ হয়রানি বা অবহেলিত না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে আমাদের সবার মনে রাখতে হবে করোনা ভাইরাস বা যেকোনো বিপদ চিরদিন থাকে না কিন্তু আমাদের ব্যবহার গুলি বিপদগ্রস্থ মানুষ গুলির মনে থেকে যাবে । সুতরাং আমরা একে অন্যকে বিপদের মুহুর্তে সাহায্য করি অবহেলা নয় । আল্লাহ্ পাক যেই দিন মরন লিখে রাখছেন সেইদিন যে কোন ভাবে আমাদের মরন আসবেই কেউ ঠেকাতে পারবে না । আল্লাহ্ পাক রাব্বুল আল আমিন আমাদের সবাইকে হেফাজত করুন আমিন । পরিশেষে বলতে চাই এইরকম যদি কোন ভাই বোন সমস্যায় পড়েন আমার সাথে যোগাযোগ করবেন ইনশাল্লাহ্ আমি সবার আগে উপস্থিত হবো কোন চিন্তা করবেন না ভয়ের কিছু নাই ।মরার জন্য জন্মেছি তাই মরার চাইতে মানবিক বিষয় আগে । আল্লাহ্ হাফেজ ।।।।।।।।

0Shares
এই ক্যাটাগরীর আরো খবর