আজ ৬ ডিসেম্বর, সিলেটের বিয়ানীবাজার মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালে এই দিনে বাংলাদেশের উত্তর পূর্ব সীমান্তবর্তী বিয়ানীবাজার উপজেলা হানাদার মুক্ত হয়েছিল। দীর্ঘ নয় মাসের মুক্তি সংগ্রামে কয়েক হাজার মানুষ পাকবাহিনী ও তাদের দালাল রাজাকার-আলবদর কর্তৃক  নির্যাতিত হয়েছিলেন। মুক্তিযুদ্ধে বিয়ানীবাজারে ১২৪ জন শহীদ হওয়ার প্রমাণ পাওয়া গেলেও বয়স্করা জানিয়েছেন প্রকৃত সংখ্যা প্রায় আড়াই শতাধিক।একাত্তরের ৬ ডিসেম্বর ভোরে উপজেলার মুডিয়া ইউনিয়নের তাজপুরে পাক সেনাদের সাথে মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মুখ যুদ্ধ হয়েছে। ঐ দিনই বিয়ানীবাজার থানায় পাক সেনাদের ক্যাম্প থেকে সকল সৈন্য জীবন বাঁচাতে পালাতে বাধ্য হয়েছিল।স্থানীয় মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ও মুক্তিযোদ্ধারা বিয়ানীবাজারের থানা টিলায় বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। পাক সেনারা বর্তমান পৌর শহরের শহীদ টিলা (কাঁঠালতলা) বধ্যভূমি  ও রাঁধা টিলায় স্থানীয়দের ধরে  নির্যাতন করতো।নির্যাতিতদের মধ্যে কাঁঠাল তলায় প্রায় ৬০ জনের উপরে এবং রাধা টিলায় প্রায় ৩০ জনকে পাক সেনারা গুলি করে হত্যা করে। দেশের একমাত্র প্রবাসী বাউল সাধক কমর উদ্দিনকেও কাঁঠাল তলায় হত্যা করে পাকবাহিনী। রাধা টিলায় সুপাতলার ঘোষ পরিবারের ১২ জনকে এক সাথে হত্যা করে। যুদ্ধের পর মুক্তিযোদ্ধারা উপজেলায় ৬টি গণকবর আবিষ্কার করেন।