১২ রবিউল আউয়াল বিশ্ব ভুবনের জন্য রহমত ও বরকতময়

admin
  • আপডেট টাইম : নভেম্বর ১০ ২০১৯, ০৪:১৫
  • 1166 বার পঠিত
১২ রবিউল আউয়াল বিশ্ব ভুবনের জন্য  রহমত ও বরকতময়

প্রিয় নবী, শেষ নবী, রহমাতুল্লিল আলামিন, শান্তির অগ্রদূত, মানবতার মুক্তির দিশারি হজরত মুহাম্মদ মোস্তফা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। সৃষ্টির শুরু থেকেই উভয় জগতে আল্লাহ তায়ালা তাঁর সব রহমত ও দয়া এ নবীর অসিলায় প্রবাহিত করছেন। মহানবী (সা.)-এর আগমনের দিন পবিত্র ১২ রবিউল আউয়াল বিশ্ব ভুবনের জন্য নিঃসন্দেহে রহমত ও বরকতময়। বিশ্বমানবের ইহকালীন ও পরকালীন জীবনের সার্বিক কল্যাণ ও মুক্তির পয়গাম নিয়ে ৫৭০ খ্রিস্টাব্দে ১২ রবিউল আওয়াল সোমবার প্রভাতের সময় মহাবিশ্বে আগমন করলেন।

পবিত্র মিলাদুন্নবীর ইতিহাস অতি প্রাচীন। মিলাদুন্নবীর সূচনা করেছেন স্বয়ং আল্লাহ রাব্বুল আলামিন! ‘রোজে আজলে’- ‘পৃথিবীর আদি লগনে’ সব নবীকে নিয়ে আল্লাহ এই মিলাদের আয়োজন করেছিলেন। নবীগণের মহাসম্মেলন ডেকে মিলাদুন্নবী মাহফিলের আয়োজক স্বয়ং আল্লাহ। ওই মজলিসে এক লাখ ২৪ হাজার মতান্তরে দুই লাখ ২৪ হাজার পয়গম্বর (আ.) উপস্থিত ছিলেন। ওই মজলিসের উদ্দেশ্য ছিল হজরত মুহাম্মদ মোস্তফা (সা.)-এর জন্ম, শান ও মান অন্যান্য নবীর সামনে তুলে ধরা এবং তাঁদের কাছ থেকে তাঁর ওপর ইমান আনয়ন ও সাহায্য সমর্থনের প্রতিশ্রুতি আদায় করা। কোরআন মজিদের সুরা আলে ইমরান ৮১-৮২ নম্বর আয়াতে ওই মিলাদুন্নবী মাহফিলের কথা উল্লেখ রয়েছে। নবীজির সম্মানে এটাই ছিল প্রথম মিলাদ মাহফিল এবং মিলাদ মাহফিলের উদ্যোক্তা ছিলেন স্বয়ং আল্লাহ তায়ালা। সুতরাং মিলাদ মাহফিল হচ্ছে আল্লাহর সুন্নাত বা তরিকা। সম্ভবত, সব নবী আল্লাহর দরবারে দাঁড়িয়ে থেকে মিলাদ শুনেছিলেন এবং কিয়াম করেছিলেন। কেননা, আল্লাহর দরবারে বসার কোনো অবকাশ নেই। পরিবেশটি ছিল আদবের। মিলাদ পাঠকারী ছিলেন স্বয়ং আল্লাহ এবং কেয়ামকারীগণ ছিলেন আম্বিয়ায়ে কেরাম।

নবীয়ে দোজাহানের শুভাগমনের মাস হিসেবে পবিত্র রবিউল আউয়াল সমুন্নত শান ও মান-মর্যাদার মহিমায় সমুজ্জ্বল। নিঃসন্দেহে প্রিয় নবীর আবির্ভাব ও তিরোধানের স্মৃতিবিজড়িত মাস হিসেবে এ মাস বর্তমান মুসলিম মিল্লাতের জন্য ঐতিহাসিকভাবে স্মরণীয়। আমরা বাংলাদেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা বহু বছর ধরে পবিত্র ‘১২ রবিউল আউয়াল’ দয়াল নবীজির পবিত্র বেলাদত (শুভাগমন) দিবস উপলক্ষে অত্যন্ত আনন্দের সঙ্গে ্মিলাদুন্নবী, জশনে-জুলুস ইত্যাদি পালন করে আসছি, যা শরিয়তের দৃষ্টিতে বেদায়াতে হাছানা ও মোস্তাহাব। উম্মতে মুহাম্মদীর জন্য এসব অনুষ্ঠানের মাধ্যমে হুজুর (সা.)-এর প্রতি যথাযোগ্য সম্মান, দরুদ ও সালাম পেশ করা অতি উত্তম ইবাদত।

0Shares
এই ক্যাটাগরীর আরো খবর